গোপনে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির!
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১৪ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
গোপনে-৩০০-আসনে-প্রার্থী-চূড়ান্ত-বিএনপির
জানা গেছে, লন্ডনে বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নিজেই ৩০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্তের কাজটি করছেন। আর এই চূড়ান্ত করতে গিয়ে তারেক জিয়া নির্ভর করছেন তৃণমূলের ওপর এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ওপর।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত কিছুদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে লাগাতার বৈঠক করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির এ নেতা। সেই বৈঠকে মূলত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে তৃণমূলের কাছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভোটও দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রার্থী বাছাইয়ের কথা বিএনপির একাধিক নেতাও স্বীকার করেছেন। তবে তারা বলছেন, প্রার্থী বাছাইয়ের সঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থান নেই। তাদের মতে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হওয়ার পর বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে এবং সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বিএনপিকে একটি যোগ্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই কাজটিই এখন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং নজরুল ইসলাম খান নিয়মিত লন্ডনে যোগাযোগ করছেন এবং প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলাপ-আলোচনায় অংশগ্রহণ করছেন। আর লন্ডনে তারেক জিয়ার নিজস্ব একটি টিম সারাদেশে বিএনপির প্রার্থীদের অবস্থান নিয়ে জরিপ পরিচালনা করছেন। বিএনপিতে সম্ভাব্য কারা প্রার্থী হতে পারে সে বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এই সমস্ত খোঁজখবর নেয়ার মাধ্যমে বিএনপি একটি প্রার্থী তালিকা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করবে বলে জানা গেছে।
বিএনপির অন্তত তিনজন নেতা বলেছেন, বিএনপির একাধিক নেতাকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই নির্দেশ তার মনোনয়নের নিশ্চয়তা কিনা, সে ব্যাপারে তারা কোনো কথা বলেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি যতই নির্দলীয় নিরপক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উচ্চারণ করুক না কেনো, শেষ পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে তাদের একটা সমঝোতা হবে এবং এ সমঝোতার ভিত্তিতে তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং সেই অংশগ্রহণের আলামতই হল প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা।