কুচক্রি মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর রয়েছে: পরশ
প্রকাশিত : ১২:০৫ এএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার
কুচক্রি-মহল-জনগণকে-বিভ্রান্ত-করতে-তৎপর-রয়েছে-পরশ
তিনি বলেন, সারাবিশ্ব যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করছে, তখন দেশের মধ্যে একটি কুচক্রি মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর রয়েছে। এদের কঠোরভাবে প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
রোববার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র সামনে ‘১১ জুন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারামুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস’ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা সেই দিন মুক্তি পেয়েছিলেন বলেই আমরা একটা দেশপ্রেমী সরকার পেয়েছি। কিন্তু আজো একটা সুযোগ সন্ধানী মহল এবং বিএনপি-জামায়াত তাদের সংকীর্ণ, আত্মকেন্দ্রিক ও পশ্চাদপদ রাজনীতির কারণে আমাদের দেশপ্রেমী সরকারকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি জামায়াত জোটের অপশাসনের কারণেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন এসেছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একতরফা সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনানিয়ন্ত্রিত অন্তবর্তীকালীন সরকার।
তিনি বলেন, মনে রাখা দরকার সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার মুক্তি না হলে অগণতান্ত্রিক সরকার অতীতের মত দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকত, স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মুল হতো না, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না, এগিয়ে যেতো না উন্নয়নের ধারা। সে কারণেই বাংলাদেশর রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জুন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিন কেবল শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসই নয়, এই দিনটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস এবং মাইলফলক একটি অধ্যায়।