বিএনপির অভ্যন্তরে প্রশ্নবিদ্ধ মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ১১ জুন ২০২২ শনিবার
বিএনপির-অভ্যন্তরে-প্রশ্নবিদ্ধ-মির্জা-ফখরুল
দলীয় সূত্র জানায়, চাটুকারিতা ও তোষামোদী করতে গিয়ে দলের ভেতর তোপের মুখে পড়েছেন মির্জা ফখরুল। তার ব্যক্তিত্বহীন, চাটুকারসুলভ আচরণ তার অনুসারীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
বিএনপির অপর একটি সূত্র জানায়, তারেক রহমানকে সন্তুষ্ট রেখে মহাসচিব পদটিকে আকড়ে রাখাই মির্জা ফখরুলের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তারেক জিয়ার কৃপাতেই তিনি এখনো বিএনপি মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারেককে খুশি করতে মির্জা ফখরুল একের পর এক মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন, যা শুধু হাস্যকর নয় বিব্রতকরও বটে।
সূত্র জানায়, আগে কানাডা থেকে বেগম জিয়ার জন্য পদক আবিষ্কার করেন মির্জা ফখরুল। ঐ পদকদাতারাই ছিল অস্তিত্বহীন। এ রকম একটি পদক বেগম খালেদা জিয়াকে দেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এবার পদ্মাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নিয়ে তিনি একটি আজগুবি তথ্য সংবাদমাধ্যমে বলেন। এ মিথ্যা তথ্য বলার পর দলের ভেতরে নাস্তানাবুদ হচ্ছে মির্জা ফখরুল।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, ২০১৮ এর নির্বাচনের ব্যর্থতার পরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদত্যাগ করা উচিত ছিল। সে সময় দলের সব সিনিয়র নেতারা মহাসচিব পরিবর্তনের ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ একাধিক নেতা প্রকাশ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছিলেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যর্থতার পরও টিকে যান শুধুমাত্র তারেক জিয়ার দয়ায়। এরপর তিনি তারেক জিয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংযোগ কম। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কোনো সমস্যার তিনি সমাধান করতে পারেন না। এমনকি দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি কি হচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল নয়। তিনি আসলে একটি পোস্ট বক্স। তাকে যেভাবে লন্ডন থেকে কমিটি পাঠানো হয়, সেভাবেই তিনি সেই কমিটি ঘোষণা করেন। সম্প্রতি তার বক্তব্য আমাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করছে। কারণ, মনগড়া বক্তব্যের কারণে আমাদের লজ্জার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া এসব আজগুবি বক্তব্য তার ব্যক্তি ইমেজকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করেছে যা তিনি এখনো অনুধাবন করতে পারেননি।