সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশে এসে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দিচ্ছে বাহরাইন

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

দেশে-এসে-আটকে-পড়া-বাংলাদেশিদের-ভিসা-দিচ্ছে-বাহরাইন

দেশে-এসে-আটকে-পড়া-বাংলাদেশিদের-ভিসা-দিচ্ছে-বাহরাইন

সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহরাইন সরকার। প্রাথমিকভাবে করোনায় মধ্যে দেশে আটকে পড়া ১৬১ জনকে ভিসা দেয়া হবে। 

গতকাল বুধবার এক ফেসবুক লাইভে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়া ১৬১ জনকে প্রথম দফায় ভিসা দেওয়া হবে। মালিকপক্ষের আগ্রহের ভিত্তি করে তাদের নাম চূড়ান্ত করেছে দেশটির সরকার। তবে এ প্রক্রিয়ার আবেদন করেছিল ৯৬৭ জন বাংলাদেশি। 

রাষ্ট্রদূত জানান, বাহরাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুরুতে ভিজিট ভিসা ইস্যু করবে। বাহরাইনের যাওয়ার পর নিয়োগকর্তার মাধ্যমে সেটাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তর করে সেন্ট্রাল পপুলেশন রেজিস্ট্রেশন (সিপিআর) করা যাবে।

আরো পড়ুন> ৫০ কোটি টাকার লটারি জিতলেন বাংলাদেশি, বললেন- অর্থ বিপজ্জনক জিনিস

এদিকে, প্রাথমিক তালিকায় থাকা ১৬১ জনের নাম-পরিচয় ফেসবুকে প্রকাশ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াও তুলে ধরেছে দূতাবাস। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বাহরাইন সরকারের ই-ভিসার ওয়েবসাইটে। প্রথমে ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে তালিকাভুক্ত কর্মী নিজে আবেদন করতে পারবেন না। তারপক্ষে স্পন্সর বা মালিককে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর স্পন্সর বা মালিককে বাহরাইন সরকার থেকে পাওয়া ‘ই-ভিসা রেফারেন্স’ নম্বর বাংলাদেশ দূতাবাসকে ইমেইলে ([email protected]) অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (+৯৭৩-৩৩৩৭৫১৫৫) জানাতে হবে। এরপর দূতাবাস ঐ কর্মীকে ভিজিট ভিসা দিতে বাহরাইন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবে।

মহামারীর মধ্যে এসে আটকেপড়া যেসব বাংলাদেশি ফেরত যেতে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু তালিকায় নেই তাদের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম বলেন, তারা নির্দিষ্ট সময়ে মালিকপক্ষ বা স্পন্সরের সম্মতির বিষয়ে দূতাবাসকে অবহিত করতে পারেননি। সে কারণে বড় অংশ তালিকার বাইরে। স্পন্সরের সম্মতি পেলে তাদেরকে ভিসা দেওয়ার বিষয়েও ‍বাহরাইন সরকারকে অনুরোধ করা হবে। কর্মীদের মধ্যে যারা ফ্যামিলি ভিসায় পরিবারের সদস্যদের নিতে চান, তাদেরও পরিবারের সদস্যদের নাম-পরিচয় ও পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে দূতাবাসের ইমেইলে আবেদন করার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত।