ডেবিট কার্ডের জালিয়াতি রুখতে যেভাবে সাবধান হবেন
প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ৮ জুন ২০২২ বুধবার
ডেবিট-কার্ডের-জালিয়াতি-রুখতে-যেভাবে-সাবধান-হবেন
তাই কার্ড ব্যবহারের আপনাকে কিছু প্রাথমিক বিষয়ে সতর্ক থাকতেই হবে। তাতে অনেক বিপদই এড়ানো সম্ভব। নইলে কার্ডে জালিয়াতির শিকার আপনিও হতে পারেন।
কার্ডে জালিয়াতি বিভিন্ন ভাবে করা সম্ভব। যেমন-
>> অনেক সময়ে এটিএমে যেখানে কার্ড ঢোকানো হয়, সেখানে ‘ডুপ্লিকেট কার্ড রিডার’ লাগিয়ে রাখে প্রতারকরা। এই ভাবেই আপনার পিন নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
>> পিওএস মেশিনে কার্ড ঘষে (সোয়াইপ করে) জিনিসপত্র কেনাকাটার সময়েও একই ভাবে তথ্য হাতানোর চেষ্টা করা হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
>> ডুপ্লিকেট কার্ড রিডারের মতোই নকল পিন প্যাড ব্যবহার করেও জালিয়াতি করা হয়। যেখানে পিন নম্বর বা টাকার অংক লেখার বোতাম থাকে, নকল পিন প্যাড লাগানো থাকে তার উপরেই। এটিএমের মেশিনে ছোট ক্যামেরা লাগিয়েও আপনার পিন নম্বর দেখে ফেলা সম্ভব।
>> নেটমাধ্যমে ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে আসলের মতো দেখতে ব্যাংকের নকল ওয়েবসাইট তৈরি করেও গ্রাহকদের আইডি, পাসওয়ার্ড হাতানোর ঘটনা ঘটে।
>> অনেক সময়ে ইমেল বা মেসেজ পাঠিয়েও জানার চেষ্টা করা হয় ব্যাংকের তথ্য। অনেকে ফোন করে ব্যাংকেরই নাম করে।
এক্ষেত্রে কার্ড ব্যবহারের সময়ে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-
>> ‘অ্যালার্ট’ বা টাকা লেনদেনের যাবতীয় তথ্য পেতে অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইল নম্বর ও ইমেল যুক্ত করুন।
>> খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চেনা এটিএম থেকেই টাকা তুলুন। খুব বেশি ভিড় থাকলেও অন্য এটিএমের খোঁজ করা ভালো।
>> খেয়াল রাখুন, মেশিনে যেখানে পিন নম্বর দিচ্ছেন (পিন-প্যাড), তার উপরের দিকে কোনো ছোট ক্যামেরা লাগানো আছে কি না। মেশিনে কার্ড ঢোকানোর জায়গায় ডুপ্লিকেট কার্ড রিডার লাগানো নেই তো? বাড়তি কিছু লাগানো থাকার সন্দেহ হলে, তা নেড়েচেড়ে দেখুন।
>> একটিই এটিএম মেশিন থাকলে, টাকা তোলার সময়ে সেখানে দ্বিতীয় কেউ ঢুকতে চাইলে বাধা দিন। একাধিক এটিএম থাকলে এবং আপনি থাকাকালীন অন্য কেউ তা ব্যবহার করলে, একটু বাড়তি সতর্ক থাকুন। পিন নম্বর টাইপ করার সময়ে অন্য হাত দিয়ে তা ঢেকে রাখুন।
>> মাঝেমধ্যেই পিন নম্বর বদলানো ভীষণ দরকার। অন্য কেউ জেনে থাকতে পারে বলে মনে হলে, তা সঙ্গে সঙ্গে করা জরুরি।
>> যেখানে সেখানে ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করবেন না। বিশেষত অচেনা, অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে।
>> মেশিনে কাজ শেষে কার্ড বেরোতেই চলে যাবেন না। ফের সেখানে পর্দায় ‘ওয়েলকাম’ ভেসে উঠতে দিন। দেখে নিন, কার্ড ঢোকানোর জায়গায় আলো ফের ব্লিংক করছে কি না। বেরোনোর আগে ‘ক্যান্সেল’ বোতাম টিপে আসতে ভুলবেন না যেন।
>> নেট ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সুরক্ষা-চিহ্ন যুক্ত ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে টাকা পাঠান। সেগুলো ‘https://’ দিয়ে শুরু কি না দেখে নেবেন। ‘http://’ থাকলে সেখান থেকে টাকা না পাঠানোই উচিত। এক্ষেত্রে ‘s’-এর মানে সিকিওরড অর্থাৎ সুরক্ষিত।
>> যেকোনো অ্যাপ ব্যবহারের আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন। নিয়মিত কম্পিউটার ও স্মার্ট ফোন অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার দিয়ে পরিষ্কার করুন।