1. প্রচ্ছদ
2. লাইফস্টাইল

সুগন্ধি-ছাড়াই-নিজেকে-দুর্গন্ধমুক্ত-রাখবেন-যেভাবে 

গরমে ঘাম হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। শরীরের অতিরিক্ত জল এবং খনিজ পদার্থ ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এক এক জনের ক্ষেত্রে ঘাম হওয়ার পরিমাণ আলাদা হলেও, ঘাম আটকানোর কোনো উপায় নেই। ঘামের কারণে শরীরে দুর্গন্ধ হয়, যা বেশ বিরক্তিকর।

জেনে রাখা ভালো যে, ঘামের নিজস্ব কোনো গন্ধ নেই। ত্বকের উপরের স্তরে পৌঁছানোর পর বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মেশার ফলেই ঘামে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হলে তার প্রতিকার করা সহজ।

গরমে শরীরের দুর্গন্ধ আটকাতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকেন। তবে সেগুলো দীর্ঘক্ষণ গন্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। তার চেয়ে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার উপর বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন।

গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন গোসল করা জরুরি। গোসলের সময় অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল কোনো সাবান ব্যবহার করুন। টি ট্রি অয়েল, মেন্থল বা অ্যালোভেরা দিয়ে তৈরি বডিওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন। এই উপাদানগুলো শরীর থেকে ব্যাক্টেরিয়া দূরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলো ছাড়াও গরমে শরীরের দুর্গন্ধ কমাতে ঘরোয়া কী কী ব্যবহার করতে পারেন চলুন জেনে নেয়া যাক- 

নারকেল তেল

বহু প্রাচীন কাল থেকে ত্বকের যত্নে নারকেল তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। নারকেল তেলের অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। শরীরের গন্ধ দূর করতেও নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। গোসলের পর শরীরে মেখে নিন নারকেল তেল। নারকেল তেলের নিয়মিত ব্যবহার ত্বক হয়ে উঠবে দাগহীন ও চকচকে। নারকেল তেল দিয়ে তৈরি খাবার খেলেও সুফল পেতে পারেন।

টমেটোর রস

শুনে আঁতকে ওঠার মতো কিছু নেই। টমেটোর রস গায়ে মাখতে হবে না। অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত টমেটোর রস খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ কম করে। টমেটোর রস খেলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। ফলে ঘাম কম হয়।

বেকিং সোডা

শুধু কেক বানাতে নয়, শরীরের গন্ধ দূর করতেও বেকিং সোডা দারুণ কাজ করে। গোসলের পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন না হলেও একদিন অন্তর বেকিং সোডা মিশ্রিত পানিতে গোসল করতে পারেন। এর ফলে ঘাম হলেও শরীর থেকে দুর্গন্ধ বেরোবে না।