বেপরোয়া বিএনপি
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ৬ জুন ২০২২ সোমবার
বেপরোয়া-বিএনপি
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের এক মিছিলে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগান বিএনপির ষড়যন্ত্রে আলামত। যা দলটির ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। এর পর ৩০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
তারা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার (৪ জুন) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আবার ছাত্রদলের দেওয়া স্লোগান সামনে আনেন। চলমান আন্দোলনের কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বিএনপি বিনা যুদ্ধে জয়লাভ করবে। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি আরেক পচাঁত্তরের পুনরাবৃত্তির হুমকি দিয়েছেন।
আরো পড়ুন> ঐক্যফ্রন্ট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন আবদুর রব
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা বলছেন, বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সম্প্রতি যে ধরনের স্লোগান আর বক্তব্য দিয়েছেন তা রীতিমতো হুমকি। তারা যে আরেকটি পচাঁত্তরের পুনরাবৃত্তি চায় তা তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট। তাদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো স্লোগান সেই দলের বা সংগঠনের চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ছাত্রদল যখন এ ধরনের স্লোগান দিল তখন তাদের এই স্লোগান অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিশ্লেষকরা এও বলছেন যে, রাজনীতিতে আন্দোলন ছাড়া কোনো দাবি আদায় করার ঘটনা শুধু দেশে নয় বিশ্বের রাজনীতিতেও বিরল ঘটনা। বাঙালি জাতির গৌবরময় ইতিহাস অর্জিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সে জায়গায় থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র যখন বিনা যুদ্ধে জয়লাভ করতে চান তখন তিনি আরেক পচাঁত্তরের ঘটনাকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। যে ঘটনা ঘটার জন্য কোনো যুদ্ধ করতে হবে না, প্রয়োজন শুধু একটা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা। যেটা বিএনপি করছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে আর যাই করুক বিএনপি তাদের পরিকল্পনা কখনো বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। উল্টো বিএনপি দেশবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করে থাকলে জনগণ তার দাঁত ভাঙআ জবাব দেবে।