সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৮ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সংস্কারপন্থীরা পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিঃশেষ করেছে

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ৩ জুন ২০২২ শুক্রবার

সংস্কারপন্থীরা-পরিকল্পিতভাবে-বিএনপিকে-নিশেষ-করেছে

সংস্কারপন্থীরা-পরিকল্পিতভাবে-বিএনপিকে-নিশেষ-করেছে

বিগত ১০ বছর ধরে সংস্কারপন্থী নেতারাই বিএনপিকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজপথে না নেমে করোনার অজুহাতে বাসায় বসে থাকা এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামালের সঙ্গে বিএনপিকে যুক্ত করা ছিল তাদেরই সিদ্ধান্ত।

আর এসবের মাস্টার মাইন্ড বা মূল পরিকল্পনাকারী হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ কারণেই বিএনপির অভ্যন্তরে তাকে নিয়ে চলছে নানামুখী সমালোচনা।

এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে শপথ গ্রহণে বাধা এবং পরে সব নেতাকে শপথ গ্রহণ করিয়েও সমালোচিত হন মির্জা ফখরুল। সর্বশেষ ছাত্রদলের বিদ্রোহের জন্য দলের অনেক নেতাই মির্জা ফখরুলকে দায়ী করেছেন।

এ পরিস্থিতিতে আসন্ন কোরবানির ঈদের পর কাউন্সিলের কথা ভাবছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মির্জা ফখরুলের অবর্তমানে দলের অন্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে আলোচনায় তারেক রহমান এ বছরের আগস্টের মধ্যে কাউন্সিল করতে চান বলে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য তৃণমূল থেকে জোর দাবি উঠেছে। কাউন্সিলের আগেই মির্জা ফখরুল ইসলামকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এখন প্রশ্ন হলো কে হবেন বিএনপির পরবর্তী মহাসচিব? এ ব্যাপারে বিএনপির মধ্যে একাধিক মত আছে। তবে তারেক রহমানের প্রিয়ভাজন তিনজনের যেকোনো একজন বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এ কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে হয়তো খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনেরও অবসান ঘটবে এবং তারেক রহমান বিএনপির পূর্ণাঙ্গ চেয়ারম্যান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন। মহাসচিব হিসেবে এখনও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকল্প কে হবেন তা নিশ্চিত হয়নি। তবে তারেক রহমানের পছন্দের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং মির্জা আব্বাসের নাম আলোচনায় রয়েছে।