বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুধ না খাওয়াই যখন বেশি উপকারী

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ এএম, ৩ জুন ২০২২ শুক্রবার

দুধ-না-খাওয়াই-যখন-বেশি-উপকারী

দুধ-না-খাওয়াই-যখন-বেশি-উপকারী

আমরা সবাই জানি, দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি পানীয়। দুধে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট-সহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পুষ্টিগত উপাদান থাকে।

কিন্তু সবাই দুধ সহ্য করতে পারেন না। বিশেষ করে যারা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট তাদের পক্ষে দুধ খাওয়া বেশ অসুবিধাজনক। অন্যদিকে ভিগানরাও অর্থাৎ যারা শুধুমাত্র উদ্ভিদজাত খাবার খেয়ে থাকেন তারা দুধ খেতে চান না।

তাই এখন দুধের বিকল্প হিসেবে অনেক প্রাণীজ পানীয় পাওয়া যায়। যেমন সয়া দুধ, বাদাম দুধ, ওট দুধ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ছেড়ে দেওয়াই শরীরের জন্য উপকারী। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক- 

ত্বকের উন্নতি

গরুর দুধে এমন কিছু হরমোন থাকে, যা মানবদেহে উপস্থিত কিছু হরমোনের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব তৈরি করতে পারে। এতে ত্বকে সিবামের উৎপাদন বেড়ে গিয়ে ত্বকের ছিদ্র রুদ্ধ হতে পারে। ফলে যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত, তারা দুধ খাওয়া ছাড়লে উপকার পেতে পারেন।

অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি

অনেকেরই দুধ খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাদের ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকা থেকে দুধ বাদ দিলে হজমের সমস্যা কমতে পারে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। কমতে পারে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও।

মেজাজ হারানোর সমস্যায়

গরুর দুধে এমন কিছু হরমোন থাকে যা নিয়মিত পান করলে শরীরের প্রয়োজনীয় যৌন হরমোনের (ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন) ভারসাম্যের বিগড়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে দুধ না খাওয়াই ভালো।

ওজন কমাতে

দুধ না খেলেই যে ওজন কমে যাবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই তবে দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থের চর্বি অনেক সময় ওজন কমানোর পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

তবে মনে রাখবেন, সবার শরীর সমান নয়। তাই দুধ যদি ছাড়তেও হয় তবে তার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই।