সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৮ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দলীয় নজরদারিতে বিএনপির ৫ নেতা

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ১ জুন ২০২২ বুধবার

দলীয়-নজরদারিতে-বিএনপির-৫-নেতা

দলীয়-নজরদারিতে-বিএনপির-৫-নেতা

দলের অভ্যন্তরীণ গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনা বিএনপিতে নতুন নয়। এ নিয়ে দলের ভিতরে এবং বাইরে কানাঘুষা থাকলেও দলীয় অনুসন্ধানের মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে ৫ নেতার নাম। যারা দলের গোপন তথ্যগুলো আঁতাতের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মহলে ফাঁস করে দেন।

দলীয় সূত্র বলছে, গত ১৫ মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমভাগে দলের আইনজীবীদের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কৌশলগত দিক নিয়ে আলোচনা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। 

দ্বিতীয় পর্যায়ে তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দকে দল পরিচালনার কৌশল সম্পর্কে নির্দেশনা দেন।

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে বিএনপির গোপনীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়। আগে থেকেই অভিযোগ ছিল- দলের কিছু নেতা অভ্যন্তরীণ গোপন সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিবিরোধী বিভিন্ন মহলে ফাঁস করে দেন। এ জন্য বিএনপির কৌশল গোপন থাকে না। এমন প্রেক্ষাপটে গত এপ্রিলে গোপনে একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়। যারা এতদিন তথ্য সংগ্রহ করে তার ফলাফল জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন> তৃতীয় শ্রেণির রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি

বৈঠকে বেগম জিয়ার মুক্তি, বিএনপির আন্দোলন কৌশল ও পরিকল্পনাসহ কৌশলগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতাই অভিযোগ সামনে আনেন। 

পরে অনুসন্ধানী টিমের প্রধান তথ্য দেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান, আমান উল্লাহ্ আমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন বিভিন্ন মহলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

বিএনপিকে ভাঙতে এই পাঁচ নেতা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বৈঠকে এই পাঁচ নেতাদের বিরুদ্ধে আঁতাতের বিভিন্ন দালিলিক প্রমাণ তুলে ধরা হয় বলেও জানা গেছে।

কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, যারা এ ধরনের অভিযোগ করছেন তারাই আসলে কুচক্রী ও অবিশ্বাসী। বিএনপিকে বিভক্ত করার কৌশলে তারা নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর কাজ করছেন। কে এজেন্ট বা কে এজেন্ট নয় তার চেয়েও বড় কথা এই বিভক্তি বিএনপিকে কোনো আন্দোলন কর্মসূচির দিকে এগিয়ে নিতে দিচ্ছে না।