সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বচ্ছজলের মূর্তি ও তার মায়াবী বনাঞ্চল যেন রূপকথা

প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ৩১ মে ২০২২ মঙ্গলবার

স্বচ্ছজলের-মূর্তি-ও-তার-মায়াবী-বনাঞ্চল-যেন-রূপকথা

স্বচ্ছজলের-মূর্তি-ও-তার-মায়াবী-বনাঞ্চল-যেন-রূপকথা

ভারতের উত্তরবঙ্গের ঘন অরণ্যকে ভেদ করে প্রবাহিত হয়েছে মূর্তি নদী। অদম্য প্রাণশক্তিতে ভরপুর এই নদীটি। পাথর ও নুড়ির ওপর স্ফটিক- স্বচ্ছজল যেন এক রূপকথার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এখানে। যারা নিরিবিলি বেড়ানোর জায়গা খুঁজছেন, যারা নদীর ধারে তাঁবুতে ছুটি কাটাতে চান কিংবা যারা পাখি ভালোবাসেন– সবার আদর্শ গন্তব্য হতে পারে মূর্তি নদী।

মূর্তি নদীতে পানি প্রবাহ থাকে সারা বছর। শীতকালেও ঠান্ডা পানিতে পা ডুবিয়ে বসলে সমস্ত ক্লান্তি যেন উধাও হয়ে যায়। এই নদীগর্ভ এতটাই পরিষ্কার যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলেও একঘেয়ে লাগবে না। জঙ্গলের নৈঃশব্দ্য মনকে অন্যকোনো জগতে নিয়ে যাবে। 

এ ছাড়াও আশেপাশের বনভূমিতে আছে রাজধনেশ এবং আরো বেশ কিছু হিমালয়ের পাখি ও নানাধরনের প্রজাপতির বাস। 

মূর্তি নদী। ছবি: সংগৃহীত

নদীর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ‘মূর্তি ট্যুরিজম প্রপার্টি’। প্রকৃতির মাঝখানে ছুটি কাটানোর বন্দোবস্ত তো বটেই, পাবেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ। বর্তমানে ১৫টি ইটের কটেজ, ৬টি কাঠের কটেজ, একটি রেস্তোরাঁ এবং একটি দোকান চালু রয়েছে।

পাশের কলকলিয়ে বয়ে যাওয়া নদী থেকে ধরা মাছ চলে আসবে খাবারের থালায়। কটেজের সাজসজ্জা এত মনোরম যে রাত্রিবেলা আপনি ঘুমের অতলে তলিয়ে যাবেন আরামে। মাঝেমাঝে কানে এসে পৌঁছবে বন্যপ্রাণীর ডাক অথবা ঝিঁঝির ঐকতান। 

সকালের মূর্তি নদী হয়ে ওঠে অপরূপ। মূর্তি সেতু পার হয়ে গরুমারা বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে সাফারি পার্কে যেতে পারেন। এই ঘন অরণ্যে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফিও জমে দারুন। কোনো একটি ওয়াচ টাওয়ারে গিয়ে দেখতে পারেন নানারকম পাখি, ময়ূর, হরিণ কিংবা হাতি। 

মূর্তি নদী। ছবি: সংগৃহীত

সন্ধেবেলা রঙিন আদিবাসী নৃত্যের আয়োজন করে ট্যুরিজম প্রপার্টি। ধামসা মাদলের তালে তালে পামেলাতে পারেন আপনিও। অথবা সূর্যান্তের সময় উপভোগ করতে পারন শিল্পীদলের ঐতিহ্যময় উপস্থাপনা। 

যেভাবে যাবেন: বাংলাদেশ থেকে হাওড়া বা শিয়ালদহ যেতে হবে। হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে চলে যেতে পারেন। মূর্তি থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। কাছের বিমান বন্দর বাগডোগরা।