বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উন্নয়নে আতঙ্কিত বিএনপি

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৩০ মে ২০২২ সোমবার

উন্নয়নে-আতঙ্কিত-বিএনপি

উন্নয়নে-আতঙ্কিত-বিএনপি

যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হল, সে দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন। অর্থাৎ যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামো যত বেশি উন্নত, সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা তত বেশি ত্বরান্বিত।

ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে আছে পদ্মাসেতু নিয়ে। সেতু উদ্বোধন হলে এই বাংলার মানুষ দলটির প্রতি কি রকম বিদ্রূপ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়। এই ভয়ে বিমর্ষ দলটির নেতাকর্মীরা। কারণ দলটি পদ্মাসেতুর চরম বিরোধিতা করেছিল। তারা কখনোই চায়নি বাংলায় পদ্মাসেতু হোক। 

দেশে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন হলে পাল্টে যাবে দেশের অর্থনৈতিক চিত্র, পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতির ইন্টিগ্রেটরগুলো। 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রায় ৩ কোটি মানুষের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। দেশের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ বা তিন কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি এ সেতুর মাধ্যমে উপকৃত হবে। 

সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিক উৎপাদন, সেবা, পর্যটন, শিল্প, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে যে ইতিবাচক গতি তৈরি হবে। আর সেটাই যেন বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

পদ্মাসেতু চালু হলে দেশের এতো উন্নয়ন হবে সেটা কিছুতেই গ্রহণ করতে পারছে না বিএনপি। প্রতিহিংসায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে দলটির নেতাকর্মীরা। যা দলটির স্বভাবগত চরিত্র। 

রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে, দলটির এই প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা।

রাজনৈতিক সচেতনরা বলছেন, দেশ একটি স্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দলগুলো ঘরোয়াভাবে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। সব মিলিয়ে দেশের একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সহবস্থান ছিল। এর মধ্যে গত ২৪ মে পদ্মাসেতু উদ্বোধনের তারিখ সরকার ঘোষণা করে। এই ঘোষণায় একদিকে বাংলার মানুষের মধ্যে যেমন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে তেমন ভীতির সঞ্চার হয়েছে বিএনপিতে। 

পদ্মাসেতু উদ্বোধন হলে দেশের জনগণ বিএনপিকে বয়কট করতে পারে এমন ভাবনা লক্ষ্য করা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। পদ্মা আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না বিএনপিকে। আর সেকারণেই দেশের জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি গায়ে পড়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে মনে করছে একাধিক মহল।

কোনো কোনো মহল মনে করছেন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, খুলনায় বিএনপির সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ এবং বগুড়ায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ এগুলো একই সূত্রে সম্পর্কিত। উদ্দেশ্য একটাই পদ্মাসেতু থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরানো।