বিএনপি নৈরাজ্য করলে আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ করবে: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার
বিএনপি-নৈরাজ্য-করলে-আওয়ামী-লীগ-প্রতিরোধ-করবে-তথ্যমন্ত্রী
শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতার আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপি আবার নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সামনে বহিরাগতদের নিয়ে সন্ত্রাস, দেশের অন্যান্য জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড -এগুলো সবই দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা আওয়ামী লীগ যেহেতু রাষ্ট্রক্ষমতায়, জনগণ আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, সেহেতু আমাদের দলের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশে যাতে কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে না পারে। ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, সেটি যাতে না করতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং আমরা তাদের সতর্ক করেছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, যদি এ ধরনের অপচেষ্টা আবারও চালানো হয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা প্রতিরোধ করব।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, আসলে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কারণ তারা বলেছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু করতে পারবেন না। বিশ্বব্যাংকসহ পৃথিবীর অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন না করে, সেজন্য নানা ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা, বহুকিছু করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি দেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে ফেলেছে।
আরো পড়ুন> ‘মাংকিপক্স নিয়ে আমাদের এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই’
‘বিএনপি এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছে, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে’- এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের বিদায় ঘণ্টা তো তারা ২০০৯ সাল থেকেই বাজাচ্ছে। যতই ঘণ্টা বাজাচ্ছে, ততই তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং নিজেদের বিদায় ঘণ্টাই বাজিয়ে দিয়েছে। আর ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন সবাই দেখতে পারে, স্বপ্ন দেখতে কোনো দোষ আমি দেখি না। কিন্তু দেশে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হয়, তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
তিস্তা নদীর পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২১০০ সালকে সামনে রেখে ডেলটা প্ল্যান করা হয়েছে। সারাদেশের জন্য একটা ফিজিক্যাল প্ল্যান করা হয়েছে। এর আওতায় সেটি বাস্তবায়নের কিছু কাজও শুরু হয়েছে। সেই মহাপরিকল্পনায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টনসহ অন্যান্য অনেক বিষয় রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, প্রধানমন্ত্রী যিনি ভবিষ্যৎ দেখেন, তিনি যেভাবে সারাদেশের ফিজিক্যাল প্ল্যানিং করে এই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আমাদের মিলিত প্রচেষ্টা আর স্রষ্টার আশীর্বাদে ২০৪১ সাল নয়, তার আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের পরিচালনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুনি প্রমুখ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন।