ইভিএম নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার
প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার
ইভিএম-নিয়ে-বিএনপির-অপপ্রচার
জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের লক্ষ্য হচ্ছে ভোট কারচুপি করে হলেও ক্ষমতা দখল করা। বিএনপি এবং তাদের জোটের নেতারা এ মেশিন নিয়ে বিরোধিতা করছে মূলত এ কারণেই।
ভোটাররা এক প্রতীকে ভোট দিলে তা অন্য প্রতীকে যুক্ত হবে বলে যে দাবি জানাচ্ছে বিএনপি- এমন দাবিকে অপপ্রচার আর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ভোটগ্রহণ ও ফল প্রকাশে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ইভিএম ব্যবস্থা। আর এতে কারচুপির সুযোগও নেই। নূন্যতম ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিটে ভোট গণনায় সক্ষম এ যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে ৪-৬ ঘন্টার মধ্যেই পুরো নির্বাচনের ফল ঘোষণা সম্ভব।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ইভিএম মেশিন হ্যাক হওয়ার বা হ্যাক করার সুযোগ নেই। যেহেতু আমাদের ইভিএম ইউনিটগুলো কোনো নেটওয়ার্কের আওতায় নেই সেহেতু নেটওয়ার্ক ফিশিং বা সেন্ট্রাল ডাটা সেন্টার হ্যাক করার প্রশ্ন অবান্তর। যেহেতু ইউনিটগুলোতে আলাদাভাবে ভোট গণনা করে সেহেতু হ্যাক করতে হলে প্রত্যেকটি ইভিএম ইউনিটকে আলাদাভাবে হ্যাক করতে হবে- যা অসম্ভব। আবার ইভিএমগুলোতে কোন ব্লুটুথ, ওয়াইফাই ইত্যাদি ওয়ারলেস ডাটা কানেক্টিভিটি মেকানিজম নেই। তাই রিমোটলিও একে হ্যাক করা সম্ভব নয়। তাই ভোটের ফল পাল্টে ফেলারও কোনো সুযোগ নেই।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নতুন অজুহাত উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিএনপি দেউলিয়া। জনসমর্থন হারিয়ে গত এক যুগ ধরে কোনোভাবেই ক্ষমতা দখল করতে পারছে না দলটি। এজন্য নিজেদের পুরোনো ইতিহাসের আবার অবতারণা ঘটাতে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করতে চাচ্ছে তারা। এমতাবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে গিয়ে ভরাডুবির চেয়ে গুজব-অপপ্রচারই তাদের শেষ ভরসা। তাছাড়া তারা ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করে অভ্যস্ত। জালিয়াতি করার সুযোগ পাবে না বলেই ইভিএম নিয়ে এসব গুজব ছড়াচ্ছে তারা।