গণমাধ্যম উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ২৬ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার
গণমাধ্যম-উন্নয়নে-প্রধানমন্ত্রী-অনেক-পদক্ষেপ-গ্রহণ-করেছেন-তথ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্ধোধন করা হয়। এরপরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২৭ বছর ধরে এই সংগঠন রাজনীতি থেকে দূরে আছে, তাদের মধ্যে কোনো বিভক্ত নেই। এটা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটা বড় সাফল্য। সাংবাদিকদের অনেকগুলো সংগঠন আছে এবং নানা কারণে সংগঠনগুলো বিভক্ত হয়ে গেছে। শুধু ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বিভক্ত হয়নি। আশা করি- আগামী ২৭ বছর নয়,
৫০ বছর পরেও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, রিপোর্টার্সদের সংগঠন হলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। কোনো গণমাধ্যমের প্রাণ হচ্ছে রিপোর্টার। রিপোর্টাররা যদি সঠিকভাবে সংবাদ সংগ্রহ না করে তাহলে সংবাদ কখনো সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়। একজন রিপোর্টার মাঠে থেকে সঠিক সংবাদটি সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে অনেক রিপোর্টার অনেক মেধাবী, তারা অনেক চমৎকার চমৎকার রিপোর্ট করে। সমাজ যেসব বিষয় নিয়ে ভাবে না, সমাজের দৃষ্টিপাত করার জন্য তারা এসব রিপোর্ট করে থাকে। সেজন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বিভিন্ন পুরস্কারও দিয়ে থাকে, যা রিপোর্টারদের মান উন্নয়নে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম করা হয়। এসবের মাধ্যমে রিপোর্টারদের মান উন্নয়ন হচ্ছে।
আরো পড়ুন> বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ভিত্তি রচনা করে গেছেন: স্পিকার
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে চাইবো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক। গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চর্তুথ স্তম্ভ। গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করলে রাষ্ট্র ও সমাজ বিকশিত হয়। সেই কথা মাথায় রেখে গণমাধ্যমেকে উন্নয়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। গত সাড়ে ১৩ বছরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের স্বার্থে কাজ করছে। অনেক সংগঠন বা কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রিপোর্ট পেশ করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করে বিকশিত হচ্ছে, এটা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের জন্য উদাহরণ। এছাড়া আপনাদের কিছু বিষয় সীমাবদ্ধতা থাকে সেই বিষয়গুলোর নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে সচেতন আছি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু সভাপতির বক্তব্য বলেন, আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৭ বছর। এই সংগঠন শত শত বছরের সাংবাদিকদের কল্যাণে এগিয়ে যাক সেই কামনা করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম হাসিব, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন তপু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদে খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আব্দুলাহ কাফিসহ সাংগঠনিক সম্পাদক, কার্যনির্বাহীর কমিটির সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্সরা।