সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৮ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মতভেদের পর অবশেষে ভেঙে গেলো বাম জোট

প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ২৬ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার

মতভেদের-পর-অবশেষে-ভেঙে-গেলো-বাম-জোট

মতভেদের-পর-অবশেষে-ভেঙে-গেলো-বাম-জোট

অবশেষে ভেঙে গেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আলাদা দুই রাজনৈতিক জোট বা মঞ্চে থাকা নিয়ে মতভেদের পর জোট ছেড়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন। গত মঙ্গলবার বাম জোটের এক সভায় অন্যতম শরিক এ দুই দলের সদস্য পদ স্থগিতের মধ্য দিয়ে এ ভাঙন স্পষ্ট হয়ে যায়।

সাইফুল হকের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আরো পাঁচটি দলের সঙ্গে মিলে নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় থাকা ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামের ঐ মোর্চায় এ দুই শরিকের যুক্ত হওয়া নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটে মতবিরোধ চলছিল। এ নিয়ে নয়টি বামপন্থি দলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বাম জোটের অন্য সাত শরিকেরই ঘোরতর আপত্তি ছিল।

এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের সিপিবি কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভা ডাকা হয়। বাম জোটের সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে প্রায় দেড় ঘণ্টার ঐ সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনার পর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, যেকোনো একটি জোটে থাকতে হবে। দুই জোটে থাকার সুযোগ নেই।

এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি জোটে তাদের সদস্য পদ 'আপাতত স্থগিত' রাখার আহ্বান জানান। পরে জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের বাম জোটের সদস্য পদ স্থগিত রাখা হয়। 

সভায় সাইফুল হক ও জোনায়েদ সাকি ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান প্রমুখ।

জানতে চাইলে সাইফুল হক বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণাও আসেনি। যেহেতু এটা জাতীয় মঞ্চ, তাই বাম জোট শরিকরা নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সেখানে যুক্ত হতে পারে বলে তারা ভেবেছিলেন। শরিক দলগুলোর অনেকেরই দৃষ্টিভঙ্গির মতপার্থক্য রয়েছে। সে কারণে এ নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য পদ আপাতত স্থগিত রাখতে বলেছিলেন তারা।