শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুখী দাম্পত্যের জন্য দু’জনের বয়সের পার্থক্য কত হওয়া জরুরি

প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ২৬ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার

সুখী-দাম্পত্যের-জন্য-দুজনের-বয়সের-পার্থক্য-কত-হওয়া-জরুরি

সুখী-দাম্পত্যের-জন্য-দুজনের-বয়সের-পার্থক্য-কত-হওয়া-জরুরি

মানুষ একাকী জীবন কাটাতে পারেন না। সারা জীবন সঙ্গে চলার একজন সঙ্গীর খুব প্রয়োজন হয়। তাইতো একটা বয়সের পর সবাই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। যখন এক জন আর এক জনকে পছন্দ করেন, তখন নানা ধরনের জিনিস খেয়াল করেন। কারো কথা বলার ধরন পছন্দ হয়। কারো বা রূপ। কারো বিশেষ কোনো গুণ। সাধারণত বয়সের কথা পরেই খেয়াল হয়।

কিন্তু বিয়ে করে সংসার পাতার ক্ষেত্রে দু’জনের বয়সের ব্যবধানের গুরুত্ব রয়েছে। অন্তত এমনই দাবি সম্পর্ক নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত মনোবিদদের। সামাজিক আলোচনায় শোনা যায়, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য যত বেশি হবে, ততই সুখের হয় দাম্পত্য। কিন্তু এ সমীকরণ কি সত্যিই এত সহজ?

সাম্প্রতিক একটি গবেষণা কিছুটা সে ধারণাকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, একেবারে সমবয়সি কারো সঙ্গে সংসার পাতার চেয়ে খানিকটা ব্যবধান থাকলে ভালো।

তবে তার মানে এমন নয় যে ১০ বছরের ব্যবধান থাকতে হবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বরং যে সব দম্পতির মধ্যে বয়সের ফারাক এক থেকে তিন বছরের মধ্যে, তারা অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সুখী। বিশেষ করে যাদের মধ্যে চার থেকে ছ’বছরের ব্যবধান, তাদের চেয়ে আগের দলটি বেশি সুখী। তবে এর পর বয়সের ব্যবধান যত বাড়বে, তাদের মধ্যে সুখের পরিমাণ কমতে কমতে যাবে। অর্থাৎ, বয়সের ব্যবধান বেশি বাড়তে থাকলে দাম্পত্য সুখ কমে।

আমেরিকার সেই গবেষকদের দলের করা সমীক্ষায় আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, যে সব ব্যক্তির সঙ্গী তার থেকে বয়সে ছোট, বিয়েতে তারাই বেশি সুখী। তবে সঙ্গী যদি ছ’বছরেরও বেশি ছোট হয়, সেক্ষেত্রে সব সময়ে সুখের মান এক রকম থাকে না।