সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৮ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপিতে কোণঠাসা ইশরাক

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ২৫ মে ২০২২ বুধবার

বিএনপিতে-কোণঠাসা-ইশরাক

বিএনপিতে-কোণঠাসা-ইশরাক

বিএনপির রাজনীতিতে তরুণ নেতাদের মধ্যে সক্রিয় ইশরাক হোসেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীও ছিলেন তিনি। দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি এবং ঢাকা মহানগর কমিটির তিনি এক নম্বর সদস্য।

বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলোতে তিনি সবার আগে উপস্থিত হন। এরই মধ্যে মাঠের রাজনীতিতে অনেকের নজর কেড়েছেন তিনি। আর সেটাই যেন মেনে নিতে পারছেন না দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা।

তাই পদে পদে ইশরাককে ঠেকাতে কাজ করছেন বিএনপির এসব নেতারা। এরই সর্বশেষ প্রচেষ্টা ছিল গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে ইশরাককে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেওয়া।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশের সঞ্চালক আমিনুল ইসলামকে ইশরাক হোসেন অনুরোধ করেছিলেন, সম্পাদকমণ্ডলীর নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার আগে যেন তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি (আমিনুল ইসলাম) সেটা করেননি। গত কয়েকটি অনুষ্ঠানে তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে দলীয় নেতাদের অনীহা দেখা গেছে বলে ইশরাক হোসেনের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র অভিযোগ করেছে।

এর আগে, নানাভাবে ইশরাককে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গত বছরের ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ইশরাককে ১ নম্বর সদস্য করা হয়, কিন্তু বিএনপির মাঠের নেতাকর্মীরা মহানগর কমিটিতে তাকে সদস্য সচিব হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। একটা সময় ইশরাক নিজেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বা সদস্য সচিব হওয়ার জন্য তারেক রহমানসহ নানা মাধ্যমে লবিং করতে থাকেন। কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ইশরাককে সদস্য সচিব পদ না দিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে উল্টো তদবির করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যুক্ত হন বলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে।

বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ইশরাক তরুণ নেতা। তাকে দেখে মাঠের নেতারা উজ্জীবিত হতে পারেন। ইশরাককে ধরে রাখতে না পারাটা বিএনপির জন্য দুর্ভাগ্য। 

তারা আরো বলেন, এখন বহিষ্কার আতঙ্কে বিএনপির কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। কারণ, সম্প্রতি বিএনপিতে কথায় কথায় কোনো কারণ ছাড়া দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। তাই সরাসরি প্রকাশ করতে না পারলেও অনেকে দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন। কিছু নেতা দলের হাইকমান্ডকে ভুল বার্তা দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। ফলে ইশরাকের মতো তরুণ উদীয়মান নেতারা নিজ দলে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।