বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি কখনোই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বাসী নয়: আমু

প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ২১ মে ২০২২ শনিবার

বিএনপি-কখনোই-তত্ত্বাবধায়ক-সরকারে-বিশ্বাসী-নয়-আমু

বিএনপি-কখনোই-তত্ত্বাবধায়ক-সরকারে-বিশ্বাসী-নয়-আমু

১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর আমির হোসেন আমু বলেছেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন শিশু ও পাগল ছাড়া এ দেশে নিরপেক্ষ কেউ নেই। এরশাদের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর তারা ভাইস প্রেসিডেন্টের অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে বেইমানি করেছিলেন। এতেই প্রমাণিত হয় দলটি কখনোই রাজনৈতিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাস করে না।

শনিবার ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। 

বেলা ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমু বলেন, ২০০৬ সালে জনগণের তোপের মুখে জোট সরকার বিচারপতির মেয়াদ বাড়িয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বানানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল। পরে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তাদেরই নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধান বানানোর চেষ্টাও জনগণের আন্দোলনে নস্যাত হয়েছে। বিএনপিকে জনসাধারণ বর্জন করেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এ উন্নয়নকে দেখে যারা ব্যঙ্গ করেন তারা এ দেশের স্বাধীনতাকেও মেনে নিতে পারেননি। তারাই পাকিস্তানের দোসর-রাজাকারকে নিয়ে রাজনীতি করেন। মন্ত্রিসভা ও সরকার গঠন করেন। তারা কখনোই দেশপ্রেমিক হতে পারেন না। এ কারণেই তারা উন্নয়নকে দেখে যারা ব্যঙ্গ করেন।

আরো পড়ুন> জুনেই পদ্মাসেতুতে দাঁড়িয়ে মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখবে: কাদের

আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ২৫ বছর আন্দোলন করেছি। কিন্তু কখনোই পেট্রলবোমা মেরে, অগ্নিসংযোগ করে মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করিনি। ২০১৪ সালে ৬৫০টি স্কুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বাধাগ্রস্ত করেছিল। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। এ দেশের জন্য আন্দোলনে যদি দেশের মানুষকেই হত্যা করি, তাহলে কাদের স্বার্থে আন্দোলন? বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সর্বত্র, প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করেছেন। মৌল মানবিক চাহিদার গ্যারান্টি দিয়েছেন। কোনো দল-মতের বিবেচনা না করে প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সমান অধিকার ও সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন বলেও আমু উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সদস্য আনিচুর রহমান, গোলাম রাব্বানী চিনু। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম আলম খান কামাল।

আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।