বিএনপির অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ এখন চক্রাকারে ঘুরছে
প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ২১ মে ২০২২ শনিবার
বিএনপির-অভ্যন্তরীণ-ক্ষোভ-এখন-চক্রাকারে-ঘুরছে
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা ক্রমশ ক্ষোভের মুখে পড়ছেন দলের দ্বিতীয় সারির নেতাদের কাছ থেকে। আর দ্বিতীয় সারির নেতারা স্থানীয় নেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। ফলে বিএনপির ক্ষোভ এখন চক্রাকার হয়ে ঘুরছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যেই রয়েছে ক্ষোভ। সব ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু যেন এক মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির দ্বিতীয় সারির একজন নেতা বলেন, ‘আসলে আমরা নেতৃত্ব সংকটে ভুগছি। আমরা জানি না, কার কমান্ডে এগিয়ে যেতে হবে। অনেকে প্রশ্ন করেন, ঢাকা মহানগর কমিটি আছে কি-না। আমি বিশ্বাস করি- সবই আছে, পরিচালনারও লোক আছে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? তাই আমি মনে করি আগে সিনিয়রদের ঠিক হতে হবে। তাদের মধ্যেই যত ঝামেলা।’
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির এক বৈঠকে হঠাৎ রেগে যান জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক। সে সময় তিনি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের প্রশ্ন করে বলেন, আমরা কি এতই অসহায় হয়ে গিয়েছি যে, কোনো আন্দোলন সংগঠিত করার শক্তি পাচ্ছি না? আমাদের কি আসলেই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে?
এ সময় মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, ‘আর সহ্য হচ্ছে না মাননীয় মহাসচিব। আমরা এখানে বসে বৈঠক করছি। তবে কৌশলে কোথাও ভুল করেছি কিনা দলের জন্য সেই বৈঠক করা দরকার।’
জয়নাল আবদীন ফারুকের মত এ রকম অনেকেই খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, রুহুল আমিন দুলালসহ একঝাঁক বিএনপির নেতা এখন তেতে আছেন সিনিয়রদের প্রতি। তাদের একটাই কথা, দলটিকে তো ক্রমশ শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো আন্দোলন। কিন্তু সিনিয়র নেতারা সেদিকে কেন যাচ্ছে না, তা তাদের বোধগম্য নয়।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে দিগ্বিদিক হারিয়ে এক প্রকার কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। দলীয় কোন্দল, গঠনতন্ত্রে সমন্বয়হীনতা এবং দলের জুনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়নের কারণেই দলটি বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় আপাতত নেই বললেই চলে।