বাঙালি জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা: এসএম কামাল
প্রকাশিত : ০২:০৫ এএম, ১৮ মে ২০২২ বুধবার
বাঙালি-জাতিকে-আলোর-পথ-দেখিয়েছেন-শেখ-হাসিনা-এসএম-কামাল
মঙ্গলবার শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসএম কামাল বলেন, ১৯৭৫ সাল ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করে। যিনি বাঙালিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের হাজার বছরের স্বপ্ন। এর জন্য জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানের কারাগারে নির্যাতন সহ্য করেছেন বঙ্গবন্ধু। দুই দুইবার ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। তবু বঙ্গবন্ধু মাথা নত করেননি। বাঙালির স্বপ্নের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, বাঙালির আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন যার নাম ‘বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, মহীয়সী নারী বেগম মুজিবসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদেরকে জেলের মধ্যে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সেদিন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলো বিশ্বাসঘাতক জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন। সেদিন তিনি স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আর অতি-বিপ্লবীদের নিয়ে দল গঠন করেছিলেন; যার নাম বিএনপি। অবৈধ জিয়াউর রহমানের অবৈধভাবে ক্ষমতার দাপটে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।সেদিন মন্দিরে, মসজিদে, গীর্জায়, প্রার্থনা করেছেন নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য। ঠিক তখনই দেশে ফিরে আসেন আলোর দিশারী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সকল বাধা অতিক্রম করে বীরের বেসে বাংলাদেশে আসেন। শেখ হাসিনার আগমনে সেদিন প্রকৃতি কেঁদেছিল, রাস্তায় নেমেছিল মানুষের ঢল। সেদিন বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করেছিলো বাংলাদেশ আবার জেগে উঠবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, মানুষ তার ভোটের অধিকার গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেয়েছে, জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে।