সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৮ ১৪৩১   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডনে আয়েশি জীবন-যাপন, দেশে ফিরতে আগ্রহী নয় তারেক

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ১৫ মে ২০২২ রোববার

লন্ডনে-আয়েশি-জীবন-যাপন-দেশে-ফিরতে-আগ্রহী-নয়-তারেক

লন্ডনে-আয়েশি-জীবন-যাপন-দেশে-ফিরতে-আগ্রহী-নয়-তারেক

একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও লন্ডনে আয়েশি জীবনযাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সরকারিভাবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও কিছু জটিলতায় তা এখনো সফলতার মুখ দেখেনি। এছাড়া লন্ডনের আয়েশি জীবন ছেড়ে তারেক রহমানও দেশে ফিরতে আগ্রহী নয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ক্রমাগত চেষ্টা করছে সরকার। কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দেশে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর সরকার। 

তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগকে রাজনৈতিক বলে ব্রিটিশ সরকার, মানি লন্ডারিং চক্র ও বাংলাদেশ বিরোধী মহলের সহমর্মিতা অর্জন করতে চেষ্টা করছেন।

তারেক মনে করেন, রাজনীতি করতে গেলে কিছু ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। সেগুলো নিয়ে পড়ে থাকলে তো চলবে না। তাই প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে সম্ভাব্য সব কিছুই চেষ্টা করছেন তিনি। কোনোক্রমেই তিনি দেশে ফিরতে চান না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির দায়িত্বশীল ও মধ্যম সারির এক নেতা বলেন, তারেক রহমান বিদেশে অনেক টাকা খরচ করেন। আর এ টাকার যোগানে বিএনপির ডোনাররা সহায়তা করে থাকেন। তবে এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই রয়েছে অসন্তোষ। 

তিনি আরো বলেন, আর নানা খাত থেকে সংগৃহীত অর্থ বিদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছেন তারেক। সেখানে বিত্তশালীদের সঙ্গে রয়েছে যোগাযোগ, রয়েছে নানা নেটওয়ার্ক। সুতরাং চাইলেই তাকে দেশে ফেরানো সম্ভব নয়, যদি না তিনি স্বেচ্ছায় দেশে না ফিরেন।

বিএনপির অপর একজন নেতা বলেন, লন্ডনে তারেক রহমানের যে অ্যাকাউন্টটা আছে, সেটা ঐ দেশের আইনের প্রক্রিয়ায় চলছে। শুনেছি, কিছু তথ্যগত ঝামেলার কারণে আপাতত ফ্রিজ হয়ে আছে। তবে লেনদেনে অসংগতিসহ অন্য কোনো কারণেও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হতে পারে।

এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের নামে ইংল্যান্ডে থাকা তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ হয়েছে অনেক আগেই। এরই মধ্যে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাজ্য আদালত। যদিও নামে-বেনামে নানা সম্পদের মালিক হওয়া বিএনপির শীর্ষ নেতারা এ বিষয়টিকে আমলেই নিচ্ছেন না।