সুযোগ নিতে চায় হতাশ বিএনপি
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১৪ মে ২০২২ শনিবার
সুযোগ-নিতে-চায়-হতাশ-বিএনপি
জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেয় বিএনপি। কিন্তু আগুন সন্ত্রাসসহ নানা কারণে পদে পদে তৃণমূলে বিক্ষোভ ব্যর্থ হওয়ায় হতাশায় ভুগতে শুরু করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিগত চার বছরে স্থায়ী কমিটির শতাধিক বৈঠক শেষে শতাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বেশ কয়েকবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু রাজধানীতে তেমন সাড়া মেলেনি নেতাকর্মীদের। আর সারাদেশের বিএনপির সব কর্মসূচি ছিল নিরুত্তাপ। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির অভ্যন্তরে বিরাজমান হতাশা আরো তীব্রভাবে জেঁকে বসেছে।
তৃণমূলের নেতারা বলেন, এতদিন আন্দোলন-কর্মসূচির জন্য তৃণমূলের কর্মীদের মনোভাবে কঠোর ছিল। তখন সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করেনি কেন্দ্রীয় কমিটি। যখন আমাদের আগ্রহ কমে গেছে, অনাস্থা তৈরি হয়েছে তখনই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তীব্র আন্দোলন-বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছেন। এমন বাস্তবতায় কিভাবে তীব্র কর্মসূচির আশা করে কেন্দ্র?
নেতারা বলেন, বিএনপি ঈদের পর কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও আমাদের তৃণমূলে স্বতঃস্ফূর্ততা নেই। আমাদের অংশগ্রহণ না থাকায় নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন মির্জা ফখরুল।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, মূলত নিরাপদ স্থান বেছে বেছে কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কথায় আছে- সময় গেলে সাধন হবে না। যখন তৃণমূলের দাবি ছিল আন্দোলন তখন আমাদের নেতারা নিশ্চুপ ছিলেন। এখন নেতারা আন্দোলন চায় কিন্তু তৃণমূল চুপ করে আছে। এ সমন্বয়হীনতা বিএনপিকে নিঃশেষ করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মানবিক বিবেচনায় নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বারবার বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিবার মেয়াদ বাড়ানোর সময় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে একেবারে মুক্ত করতে অবৈধ সুযোগ নিতে চায় বিএনপি নেতারা। এজন্য প্রত্যেকবারই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু তা সফল হয়নি। এখন এ ব্যর্থতার জন্য শুধু তৃণমূল নয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা হতাশাগ্রস্ত। তবুও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে চাইছেন না মির্জ ফখরুলরা।