দুই কূলই হারাতে পারেন বিএনপি নেতা সাককু
প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ৭ মে ২০২২ শনিবার
দুই-কূলই-হারাতে-পারেন-বিএনপি-নেতা-সাককু
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করবে না, তাই প্রশ্ন উঠেছে- আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাককু কী করবেন, মেয়র হবেন নাকি বিএনপি ছাড়বেন?
স্থানীয় দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের মতোই স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় নেতা মনিরুল হক সাককু।
ঈদের মধ্যে মনিরুল হক সাককু তার নেতাকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। সবাই তাকে নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে কুমিল্লার রাজনীতিতে বিএনপির টিকে থাকার জন্য মনিরুল হক সাককুর মেয়র হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন দলের স্থানীয় নেতারা।
কিন্তু বিএনপি এখন পর্যন্ত সাককুর ব্যাপারে কোনো নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেনি; বরং বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, দুই ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি হতে পারে না। তৈমুর আলম খন্দকারকে যে নীতির দ্বারা বহিষ্কার করা হয়েছে, সাক্কু যদি নির্বাচনে দাঁড়ায় তাহলে তার ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রয়োগ করা উচিত। অন্যথায় এটা দলের মধ্যে ভুল বার্তা দেবে।
এদিকে বিএনপির আরেকটি সূত্র বলছে, কুমিল্লার মেয়র নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য দুজন নেতা তারেক রহমানের পেছনে টাকা ঢালছেন। দলের মধ্যেই যদি একাধিক প্রার্থী থাকে তাহলে সাককুর জন্য কঠিন হবে নির্বাচন করা।
তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের গুডবুকে নেই মনিরুল হক সাককু। তাই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে আম-ছালা দুটোই হারাতে পারেন তিনি।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বারবার নির্বাচন নিয়ে জল ঘোলা করলে বিএনপির জন্যই ক্ষতি হবে। এছাড়া জনগণের মধ্যে এটি নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হবে। এজন্যই বিএনপির সিদ্ধান্ত কী, সেটি এখন সুস্পষ্ট হওয়া দরকার। তবে মনিরুল হক সাককু যে শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করবেন, এটি নিশ্চিত। তবে তার পরিণতি তৈমুর আলম খন্দকারের মতো হবে কি-না, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।