মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৮ ১৪৩১   ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বে হতাশ খালেদা

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ৬ মে ২০২২ শুক্রবার

বিএনপির-বর্তমান-নেতৃত্বে-হতাশ-খালেদা

বিএনপির-বর্তমান-নেতৃত্বে-হতাশ-খালেদা

ঈদুল ফিতরের দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ৮ সদস্য দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গুলশানের বাসা ফিরোজায় গিয়েছিলেন। এ সময় তারা আনুমানিক এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। এ বৈঠক ছিল অনানুষ্ঠানিক। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক শেষে বলেন, দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তিনি দেশবাসীর কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। 

এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে খালেদার বৈঠকে যতটা না দেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার চেয়েও বেশি দল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির অন্তত দুজন সদস্য বলেন, যেভাবে দল পরিচালিত হচ্ছে, তাতে খালেদা জিয়া খুশি নন। বরং দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, কথায় কথায় দলের নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ, দল থেকে বহিষ্কার ইত্যাদি সংগঠনকে শক্তিশালী করে না, বরং দুর্বল করে। এখন সংকটের সময় দল থেকে হুটহাট লোকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ঠিক হবে না বলে খালেদা জিয়া মন্তব্য করেছেন। 

স্পষ্টতই এ মন্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে যে গণবহিষ্কার এবং কারণ দর্শানোর নোটিশগুলো দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন খালেদা জিয়া। এর ফলে স্পষ্টতই তিনি তারেক জিয়ার নেতৃত্বের পদ্ধতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন। এছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়া হতাশা প্রকাশ করেছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

বৈঠকে উপস্থিত স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, বিএনপিকে মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। বিশেষ করে জেলায়-উপজেলায় গিয়ে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। খালেদা জিয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। শুধু প্রেসক্লাব এবং রিপোর্টার্স ইউনিটি কেন্দ্রিক কর্মসূচির বদলে তিনি জনগণকে সম্পৃক্ত করা হয়, এমন কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বিএনপিকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের চেয়ারপার্সন। তিনি নেতাদের সক্রিয় করা এবং তারা যেন দলের জন্য কাজ করেন, সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে খালেদা জিয়া দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ১৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত। সরকার তার দণ্ড স্থগিত করে তাকে ফিরোজায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার পর এখন ফিরোজায় নিভৃত জীবনযাপন করছেন খালেদা জিয়া।