কী দিয়ে তৈরি রুটিতে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে
প্রকাশিত : ০১:৩৮ পিএম, ৪ মে ২০২২ বুধবার
কী-দিয়ে-তৈরি-রুটিতে-ওজন-থাকবে-নিয়ন্ত্রণে
কিন্তু কী দিয়ে বানানো তৈরি রুটি সবচেয়ে বেশি উপকারী? অঞ্চলভেদে বাজরা, জোয়ার, গমের রুটি খেয়ে থাকেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু কোন রুটিতে পুষ্টি কেমন, সেটা জানেন না অনেকেই।
পুষ্টিবিদদের মতে, ময়দা বাদ দিয়ে যেকোনো আটার রুটিই উপকারী। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই রুটি খান না! সেক্ষেত্রে বাজরা, জোয়ার, রাগি কিংবা ভুট্টার আটার রুটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়া যায়। তবে গমের রুটির তুলনায় বাজরা, রাগি ও ভুট্টার রুটি অনেক মোটা হয়। তাই তা হজম করা একটু কঠিন। প্রথম দিকে অল্প পরিমাণে খেয়ে দেখুন। হজম করতে পারলে পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
জোয়ার
এই রুটিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। এছাড়া গ্লাইসেমিক লোড কম হয় বলে, রক্তে শর্কার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উপকারী। জোয়ারে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই জোয়ারের রুটি খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মেটে। বয়স বাড়লেই নারীরা ক্যালশিয়ামের অভাবে ভোগেন। তাই তারা খাবার পাতে জোয়ারের রুটি রাখতে পারেন। হৃদযন্ত্র ভালো রাখার গুণও আছে জোয়ারের।
বাজরা
মেদ বাড়ার ভয়ে যারা রুটি খান না, তারা বাজরার রুটি খেতে পারেন। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম। ওজন কমানোর সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে বাজরার রুটি। বাজরায় গ্লাইসেমিক লোড কম। তাই বাজরার রুটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশ ভালো। তাছাড়া বাজরা গ্লুটেন ফ্রি এবং এতে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। তাই বাজরার রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
রাগি
এই রুটি দেখতে লালচে ধরণের হয়, কারণ এতে আয়রন বেশি মাত্রায় থাকে। তাই অ্যানিমিয়া রোগীরা রাগি দিয়ে তৈরি রুটি খেতে পারেন। তবে রাগিতে ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য আটার চেয়ে কম। ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা রোজের ডায়েটে রাগির রুটি রাখতে পারেন। এতে ভালো মাত্রায় প্রোটিন থাকে। নিরামিষাশীদের জন্য প্রোটিনের ভালো উৎস।
ভুট্টা
ভুট্টার আটায় প্রটুর পরিমাণে ফাইবার থাকে আর এটিও গ্লুটেন ফ্রি। এতে ফসফরাস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভিটামিন বি৬ বেশি পরিমাণে থাকে। তাই মাঝেমাঝে স্বাদ বদলে ভুট্টার রুটি রাখতে পারেন। তবে ভুট্টার রুটি খুব মোটা হয়। হজম করতেও সময় লাগে।