বিএনপির বড় পদে থেকেও রাজনীতিতে নেই যারা
প্রকাশিত : ০১:০৫ এএম, ৩ মে ২০২২ মঙ্গলবার
বিএনপির-বড়-পদে-থেকেও-রাজনীতিতে-নেই-যারা
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিনিয়র এসব নেতারা মূলত তারেক রহমানের কারণেই এক ধরনের নীরব অভিমানে দূরে সরে গিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজন হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও মোসাদ্দেক আলী ফালু।
জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়েও ড. মঈন খান এখন নিষ্ক্রিয়। এক সময় তিনি কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সময় কাটাতেন। কিন্তু এখন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে তার দূরত্ব রয়েছে।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের বিরোধ পুরোনো। তারেক রহমান যখন ২০০১ সালে বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নেন সেই সময় তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হন। এরপর বিএনপিতে তিনি কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের পর খালেদা জিয়া আবারো তাকে কাছে ডেকে নেন। কিন্তু এখন বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় তিনি বিএনপির মধ্যে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। তবে তারেক রহমানের অপছন্দের ব্যক্তি হয়েও তিনি স্থায়ী কমিটিতে রয়েছেন খালেদা জিয়ার জন্য।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান একজন প্রভাবশালী নেতা। খালেদা জিয়ারও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কিন্তু তারেক রহমানের কারণে তিনি এখন বিএনপিতে শুধু কোণঠাসা নন, অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা জানান, বিএনপির এ ধরনের আরো অনেক নেতা রয়েছেন যারা তারেকের কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এসব নেতাদের সক্রিয় না করলে বিএনপি কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।