মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৮ ১৪৩১   ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদকে ঘিরে তারেকের চাঁদা আতঙ্কে বিএনপি নেতারা

প্রকাশিত : ০৩:০৫ এএম, ২ মে ২০২২ সোমবার

ঈদকে-ঘিরে-তারেকের-চাঁদা-আতঙ্কে-বিএনপি-নেতারা

ঈদকে-ঘিরে-তারেকের-চাঁদা-আতঙ্কে-বিএনপি-নেতারা

আর একদিন পরই দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। আর এ ঈদকে ঘিরেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাঁদা আতঙ্কে রয়েছেন দলটির ব্যবসায়ী ও জেলা-উপজেলার নেতারা।

জানা গেছে, প্রতি বছরই ঈদের আগে দলীয় নেতা ও দাতাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান। এ চাঁদা তোলার জন্য রয়েছে তার একদল প্রশিক্ষিত ক্যাডার। এ ক্যাডার বাহিনী নিত্যদিন চাঁদার জন্য চাপ দিচ্ছেন বিএনপি নেতাদের। কিন্তু সংগঠন চালাতে গিয়ে দলের অনেক নেতারই অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

চক্ষু লজ্জার ভয়ে এসব নেতা এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তারা কিছু বলতেও পারছেন না আবার চাঁদাবাজ তারেক বাহিনীর অত্যাচার সইতেও পারছেন না। তাই বিএনপির অনেক নেতাই ‘ফোন বন্ধ’ করে রেখেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্বস্ত সূত্র।

সূত্র বলছে, এবারো চাঁদার জন্য দলীয় নেতা ও দাতাদের ফোন দিতে শুরু করেছেন তারেক রহমান। আর তাগাদা দিচ্ছে তারেকের ক্যাডারবাহিনী। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিসকাউন্টের কোনো সুযোগ নেই।’ নির্ধারিত অংকের চাঁদাই দিতে হচ্ছে নেতাদের। এরই মধ্যে অনেকেই চাঁদা পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে অর্থনৈতিকভাবে বিপদে থাকায় চক্ষুলজ্জার ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মির্জা আব্বাসদের মতো বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বেশিরভাগ সময়ই তারা নিজেদের মুঠোফোন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারের তালিকায় তারেকের লিস্ট থেকে বাদ পড়েননি জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও। চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও সাতক্ষীরার একাধিক নেতা এরই মধ্যে তারেক রহমানকে নির্ধারিত মূল্যের টাকা পাঠিয়েছেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে চট্টগ্রাম বিএনপির এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তারেকের কাছে রাজনীতি মানেই টাকা কামানোর মেশিন। এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে না। নিজের দলের নেতাদের কাছ থেকে ব্যক্তি স্বার্থ ঠিক রাখতে যে দল চাঁদা তোলে সেই দলের পরিণতি তো খারাপ হবেই। দল ক্ষমতায় থাকলেও না হয় এসব অন্যায় মেনে নেয়া যায়। এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে প্রতি বছর দলের প্রধানকে বিভিন্ন বাহানায় টাকা দেওয়া খুবই কষ্টদায়ক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, তারেক রহমানের এমন চাঁদাবাজি আর নতুন কিছু নয়। করোনা মহামারির সময়ও তারেকের হাত থেকে নিস্তার পাননি দলের ব্যবসায়ী নেতারা। এ টাকা দিয়েই লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করেন তারেক।