ঈদে দেখুন শুভসন্ধ্যার সকাল-সন্ধ্যা
প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১ মে ২০২২ রোববার
ঈদে-দেখুন-শুভসন্ধ্যার-সকাল-সন্ধ্যা
সাগর সীমান্তের কোলঘেষা নয়নাভিরাম স্থান শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত। যার একদিকে বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, অপরদিকে সীমাহীন বঙ্গোপসাগরের মুগ্ধকর ঢেউ। উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি প্রধান নদী-পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের জলমোহনার জন্ম নিয়েছে এই শুভসন্ধ্যা। সাগরে মিশে যাওয়ার স্নিগ্ধ বেলাভূমির বালুচরই এই সৈকতের প্রাণ।
স্থানীয়দের কাছে স্থানটি নলবুনিয়া চর ও নলবুনিয়া পিকনিক স্পট নামে পরিচিত। প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি এই নলবুনিয়া চরের বনাঞ্চল। ২০০৬ সালে সিআরপিএআরপি প্রকল্পের অর্থায়নে এখানকার ৫৮ হেক্টর জমিতে নন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল গড়ে তোলেন বন বিভাগ। ঝাউগাছ, আকাশমনি, অর্জুন, খইয়্যা বাবলা, মাউন্ট, কালি বাবলা, কড়াই, খয়ের ও বাদামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে এখানে।
এখানকার বেশিরভাগ মানুষ জীবিকার তাগিদে জেলে জীবনযাপনকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। শীতকালে এখানকার জেলেদের ভিন্নরকম এক ব্যস্ততা বেড়ে যায়। হাজারো জেলে পরিবার সকাল-সন্ধ্যা শুঁটকি শুকানোর কাজে এ পল্লীতে ব্যস্ত থাকেন।
বিস্তীর্ণ বালুময় বেলাভূমির এই বনাঞ্চলের সাগরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এখানে গোধূলি সন্ধ্যাগুলো অন্যরকম মনোরম প্রাকৃতিক রূপে সাজে। বর্ষাকালে উন্মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা চরের সারি সারি ঝাউগাছের মাথার উপর ওঠা রংধনু নয়ন জুড়িয়ে দেয়।
দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা সাধারণত নৌ ও স্থলপথেই এখানে আসেন। ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যান তারা। পিকনিক স্পটে পর্যটকদের জন্য সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের সুব্যবস্থা থাকায় পর্যটকদের তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না এখানে। এ ছাড়া পিকনিকে আসা পর্যটকদের জন্য রান্নাকরার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। রয়েছে ছাটছোট চায়ের দোকান।
যেভাবে শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে পৌঁছবেন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বরগুনার তালতলীর উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে। প্রথমে তালতলী সদরে আসতে হবে। তালতলী সদর থেকে নিশানবারিয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়ায় যেতে ভ্যান, অটোরিকশা বা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে হবে। এরপর আর যানবাহনের দরকার হবে না। ২-৩ মিনিট সারি সারি ঝাউগাছ ঘেরা মেঠো পথ হেটে একদম শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে।