বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদ উপহার পাঠিয়েও কর্মীদের মন জয় করতে পারেননি তারেক

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

ঈদ-উপহার-পাঠিয়েও-কর্মীদের-মন-জয়-করতে-পারেননি-তারেক

ঈদ-উপহার-পাঠিয়েও-কর্মীদের-মন-জয়-করতে-পারেননি-তারেক

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঈদের উপহার পাঠিয়েও কর্মীদের মন জয় করতে পারেননি লন্ডনে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে বিএনপির রাজনীতি করার অর্থই হচ্ছে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করা। বিএনপি শাসনামলে হাজার রকমের দুর্নীতি করায় পাপের পরিণাম হিসেবে কর্মীদের ওপর রয়েছে নানা প্রকারের মামলা। এর মধ্যেও বিগত ১৫ বছর যাবৎ যারা বিএনপির সঙ্গে আছেন, তাদের উপহার দিয়ে তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান। তবে এই উপহার দিয়ে কর্মীদের মন জয় করার পরিবর্তে উল্টো বিভিন্নভাবে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তারেক রহমান।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপহার বিতরণ নিয়ে নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এছাড়া উপহার সামগ্রী হিসেবে নিম্নমানের পণ্য বিতরণ করায় দলের ভারপ্রাপ্ত নেতার কঠোর সমালোচনায় মেতেছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। দলের একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে ঈদ উপহার বিতরণের কেলেঙ্কারির বিষয়ে বিস্তারিত জানা গেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে ত্যাগী নেতাদের উপহার দেওয়ার নামে বিভিন্ন অভিযোগ আমার কানে এসেছে। অনেকেই উপহার পৌঁছে দিতে গিয়ে চাঁদাবাজিরও চেষ্টা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। এগুলো দলের ও কর্মীদের জন্য খুবই অস্বস্তিকর ও অপমানজনক। এমনিতেই বিএনপিতে কেউ থাকতে চাইছে না। এরপর যদি কেউ এমন করে, তবে তা বেমানান। শুনেছি, দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতাও উপহার বিতরণ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশ ছিল- উপহার বিতরণের সময় কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি করা যাবে না। অথচ খবর পেয়েছি বগুড়া সদর, চট্টগ্রাম মহানগর এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ইউনিটে উপহার বিতরণ করতে গিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলেরা স্বজনপ্রীতি ও কিছুটা চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছে। এছাড়া উপহার সামগ্রীর মান নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই নাকি অভিযোগ করেছেন যে, ভালো ভালো উপহার সামগ্রী রেখে দিয়ে নিম্নমানের পণ্য নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এই অভিযোগগুলো যদি সত্যি হয়, তবে দলের প্রতি আরো আস্থা হারাতে পারেন তৃণমূল নেতৃত্ব।