ঈদের পর বিএনপির হাইকমান্ডের মুখোশ উন্মোচনে আসছেন বহিস্কৃত নেতারা
প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার
ঈদের-পর-বিএনপির-হাইকমান্ডের-মুখোশ-উন্মোচনে-আসছেন-বহিস্কৃত-নেতারা
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র এ বিষয়টি জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিএনপিতে যোগ্যদের অবমূল্যায়ন আর অযোগ্যদের অতিমূল্যায়ন নতুন কিছু নয়। অযোগ্য নেতারা এখন অতিমূল্যায়িত হচ্ছেন। অন্যদিকে, সিনিয়র নেতারা অপদস্ত হচ্ছেন। আর যারা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তারা এক জোট হয়ে দলের হাইকমান্ডের মুখোশ খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সূত্রটি আরো জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুনর্গঠনের নামে টাকার বিনিময়ে সামনের সারিতে চলে আসে অযোগ্যরা। এতে দলটির বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে হাইকমান্ডের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারেক রহমানসহ হাইকমান্ডের মুখোশ খোলার এ উদ্যোগ নিচ্ছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, খুলনা বিএনপির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।
সূত্রটি জানায়, বঞ্চিত নেতারা চায় দলের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসুক। আসন্ন নির্বাচনের আগে যোগ্য নেতারা দলের হাল ধরুক। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হোক। তাই জনগণের সামনে দলের শীর্ষ নেতাদের মুখোশ উন্মোচন করা জরুরি। বিএনপিতে ঘাপটি মেরে থাকা কালপিটদের মুখোশ উন্মোচন হলেই দলটি তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য বহিষ্কৃত এক নেতা জানান, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে। দলের বর্ষীয়ান যোগ্য নেতারা এগিয়ে না আসলে দল পুর্নগঠন সম্ভব না। তাই মুখ বুজে না থেকে সব সত্য প্রকাশ করলেই জনগণের পুরোনো আস্থা ফিরে পাওয়া সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, মিলন সাহেবের কি দোষ? নির্বাচনের সময় কেন তৈমুর ভাইকে অব্যাহতি দেওয়া হবে? বরিশালের মজিবুর রহমান সারওয়ারসহ বহিষ্কৃত বেশির ভাগ নেতারাই তো দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিল। যাদের সামনের সারিতে আনা হচ্ছে তাদের অবদান কি দলের জন্যে? ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অনুপস্থিতিতে দলের কি অবস্থা এটাও দেশবাসীর জানা উচিত।