বিএনপি এদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু: শেখ পরশ
প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
বিএনপি-এদেশের-সবচেয়ে-বড়-শত্রু-শেখ-পরশ
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি এদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু। তারা কখনো, কোনদিন এদেশের ভাল চায় নাই। বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যা নয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে পরাজিত করার জন্যই বিএনপি নামক সংগঠনের সৃষ্টি।
সোমবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাক এবং দেশের ভিতরে কিছু প্রতিবিপ্লবী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীচক্র, জামায়াত ইসলাম ও মুসলিম লীগের অনুসারী, পাকিস্তানী মতাদর্শে বিশ্বাসী আমলা এবং পাকিস্তান-আমেরিকার এজেন্টদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবার। একই সঙ্গে ১৫ আগস্টে নিহত হন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও আমার মা আরজু মণি। এসব হত্যাকাণ্ড এবং আরো শত শত মিলিটারি অফিসারদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরিক্রমায় ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছিল বিএনপি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের দুখী-দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষদের আরো বঞ্চিত করেছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে এটা তাদের বদলা। বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এদেশের মানুষকে নির্যাতন করে, এদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এদেশে হত্যা, গুম ও সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছিল। রেফেরেন্ডাম দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে বিএনপি নেত্রী ঐ একই পরিকল্পনা ও নীলনকশা অনুযায়ী এদেশকে দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন।
শেখ পরশ বলেন, এখনো তারা সেই নীলনকশা অনুযায়ী এদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে। সম্প্রতি ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পিছনে তাদের ষড়যন্ত্রের প্রমাণও বেরিয়েছে।
তিনি উপস্থিত সুবিধা বঞ্চিত ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদেরও সচেতন থাকতে হবে, যাতে করে আপনাদের ভাগ্য নিয়ে কোন স্বার্থান্বেষী মহল ছিনিমিনি খেলতে না পারে। আজকে আপনাদের সবার হাতে মোবাইল, ঘরে বিদ্যুৎ, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের চাহিদা নিশ্চিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যদি আর একবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পায়, তাহলে শুধু আপনাদের না, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও উন্নত ভাগ্য নিশ্চিত করা হবে। তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহা. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।