মহাসচিব হতে মির্জা আব্বাসের তোড়জোড়
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২২ রোববার
মহাসচিব-হতে-মির্জা-আব্বাসের-তোড়জোড়
ঈদ শেষে বিএনপির জাতীয় সপ্তম কাউন্সিল নিয়ে শোনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জন। এরই মধ্যে এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দলের রাজনীতি। বিশেষ করে মাঠের রাজনীতিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ দল বিএনপিতে চলছে নানান অপতৎপরতা।
সর্বশেষ খবর মিলেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে খুশি করে ‘দলের মহাসচিব’ হতে তৎপর দলের স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য মির্জা আব্বাস।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, সাংগঠনিক কর্মতৎপরতাহীন অলস বিএনপির এ দুর্দিনে নিজের স্বার্থকেই বড় করে দেখছেন মির্জা আব্বাস। এ কারণে পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হটিয়ে দলীয় মহাসচিব পদ নিজের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে এ জ্যেষ্ঠ নেতা কোটি টাকা খরচ করে খালেদার জন্য বাড়ি কিনেছেন। উপহারের বিনিময়ে খুশি করে অধিষ্ঠিত হবেন কাঙ্ক্ষিত পদে, এমনটাই উচ্চাকাঙ্ক্ষা তার। তবে ফলাফল কী হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুলশানের ভাড়া বাড়ি ফিরোজার ভাড়া পরিশোধ করছেন না, এমনকি বাড়িটি দখলেরও পাঁয়তারা করছেন। এমন খবর পেয়ে এ পরিস্থিতিকে মোক্ষম সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতেই মির্জা আব্বাস এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে মির্জা আব্বাসের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে ‘বাড়ি উপহার’ দেওয়ার কথা জেনে গেছেন লন্ডনে পলাতক ফেরারি আসামি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে না দিয়ে খালেদাকে উপহার দেওয়ায় তিনি বেশ চটেছেন বলে লন্ডনের কিংস্টনভিত্তিক একটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রের তথ্য মতে, খালেদা জিয়ার পেছনে মির্জা আব্বাসের এ বিনিয়োগকে ভালো চোখে দেখছেন না তারেক। কারণ, খালেদার কারান্তরীণ সময়ে দলের দেখভাল তিনিই করেছেন। তাই এই প্রাপ্য তার। এটা ন্যায্য ও যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন তারেক। কিন্তু তা না করে আব্বাস বাড়ি উপহার দিচ্ছেন খালেদাকে। তবে আব্বাসের এই রাজনৈতিক কৌশল কাজে আসবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারেক।
রাজনৈতিক বিজ্ঞজনদের মতে, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খালেদা যদি মির্জা আব্বাসের পাতা ফাঁদে পা দেয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপি। বর্তমানের রুগ্নদশা থেকে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দলটি। কারণ, আব্বাস ব্যক্তি বা রাজনৈতিক কোনো দিক দিয়েই সৎ নন। বরং লুটপাট করে খাওয়ার এক জীবন্ত কাণ্ডারি। তাই দল বাঁচানোর স্বার্থে হলেও খালেদাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।