সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের এই ‘হেরিটেজ’ সাইটগুলো মিস করবেন না

প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার

বাংলাদেশের-এই-হেরিটেজ-সাইটগুলো-মিস-করবেন-না

বাংলাদেশের-এই-হেরিটেজ-সাইটগুলো-মিস-করবেন-না

আজ বিশ্ব হেরিটেজ দিবস। চলুন দেখে নেয়া যাক, বাংলাদেশের মন ভরানো কিছু হেরিটেজ সাইটের বৃত্তান্ত। কে, বলতে পারে, এই সাইটগুলোই হয়তো আপনার ঈদের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার ডেস্টিনেশন হয়ে যেতে পারে!

ষাটগম্বুজ মসজিদ

উপমহাদেশের বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক খান জাহান আলী নির্মিত ‘ষাটগম্বুজ মসজিদ’ এর গম্বুজ কয়টি তা নিয়েও মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। লাল পোড়া ইটের ওপর নয়নাভিরাম কারুকার্য খচিত বহুগম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটির ইটের দেয়ালে ভেতর এবং বাইরের অংশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটা।

তুঘলক স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে বাংলাদেশে যে কয়টি মসজিদ রয়েছে তার মধ্যে ষাটগম্বুজ মসজিদ অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চমৎকার মসজিদ স্থাপত্য নিদর্শন এই ষাটগম্বুজ মসজিদ। জনশ্রুতি রয়েছে মসজিদ নির্মাণের সময় চুন-সুড়কির সঙ্গে মধু ব্যবহার করা হয়েছে। ১৬৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০৮ ফুট প্রস্থের মসজিদের দেয়ালগুলো আট ফুট করে পুরু। এতে গোলাকার গম্বুজ রয়েছে ৭০টি, চারচালা বিশিষ্ট গম্বুজ রয়েছে সাতটি এবং কর্ণার বুরুজ রয়েছে চারটি। সব মিলে মোট ৮১টি গম্বুজ রয়েছে ষাটগম্বুজ মসজিদে।

ষাটগম্বুজ মসজিদ

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

এটি সোমপুর মহাবিহার নামেও পরিচিত। বৌদ্ধ বিহারটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন স্থাপনা। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

চতুষ্কোনাকার পাহাড়পুর বিহারের চারদিক চওড়া সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল। সীমানা প্রাচীরের অভ্যন্তরে সারিবদ্ধ ৯২ টি ছোট ছোট কক্ষ ছিল। অনুমান করা হয় সবগুলো কক্ষে ভিক্ষুরা বসবাস করতেন এবং পরবর্তীকালে কিছু কক্ষকে প্রার্থনা কক্ষ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিহারের উত্তর দিকের মাঝে প্রধান প্রবেশ পথ রয়েছে। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত প্রবেশ পথের সম্মুখে একটি পুকুর ছিল। ১৯৮৪-৮৫ সালে এখানে খননের সময় খলিফা হারুন আল রশিদের শাসনামলের বিপুল রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া যায়, যেগুলি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন জাদুঘরে রক্ষিত আছে। এছাড়াও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার হতে বেশকিছু মূর্তি, মুদ্রা এবং শিলালিপি ইত্যাদি পাওয়া যায়।

সুন্দরবন

চারপাশে ছোট-বড় বিচিত্র ধরনের সবুজ গাছ। এর মাঝে ছোট ছোট খাল ও নদীর ধারা বয়ে চলেছে। গাছে পাখির কিচিরমিচির, বনে বাঘ-হরিণের দৌড়াদৌড়ি আর পানিতে মাছ-কুমিরের খেলা—এ নিয়েই গড়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের অংশ সুন্দরবন; জীববৈচিত্র্যের একটি বড় আধারও বটে।

সুন্দরবন

সুন্দরবনের অধিকাংশ গাছপালা ম্যানগ্রোভ ধরনের। এখানে রয়েছে বৃক্ষ, লতাগুল্ম, ঘাস, পরগাছা ইত্যাদি উদ্ভিদ। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত সন্ধানপ্রাপ্ত ৫০টি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের মধ্যে সুন্দরবনেই আছে ৩৫টি। সুন্দরবনের উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেওড়া, পশুর, ধুন্দল, বাইন প্রভৃতি। এই বনের প্রায় সবখানেই জন্মে গোলপাতা।