ছবিতে কূল থেকে মেঘনা
প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
ছবিতে-কূল-থেকে-মেঘনা
মেঘনা নদীর এমন কিছু মুগ্ধকর দৃশ্য নিয়ে আমাদের আজকের ফটোফিচার। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন মাছ ঘাট এলাকা থেকে ছবি তুলে পাঠিয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম রানা।
ঠিক পড়ন্ত বিকেল। ঘড়ির কাঁটায় ৫ টা। মেঘনাতীরে বিকেল বেলায় মোলায়েম দৃশ্য আর নদীর বুকে ঢেউ খেলা পানি একাকার হয়ে এক নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। মেঘনাতীর একদিকে যেমন অনিন্দ্যসুন্দর, তেমনি সারি সারি গাছের মাঝে বিকেলের সূর্যের উঁকিটা অন্তরের গভীরে নাড়া দেয় বেশ তীব্রভাবে।
পর্যটকদের কাছে অন্যতম একটি উপভোগ্য নদী মেঘনা। বিভিন্ন উৎসবের সময়ে হাজার হাজার পর্যটকের হৃদয়ের জানালা খুলে দেখতে আসে এমন দৃশ্য।
সন্ধ্যে নামার আগে। যখন ক্লান্ত সূর্যটা হেলে পড়ে, ছুটে চলে পশ্চিমা দিগন্তে। সূর্যের মায়াবী রশ্মি যেন মেঘনার জলে মিশে যায়। মেঘনার জলে চোখ ফেরালে যেন আরেকটা সূর্য বিদায়ের দৃশ্য দৃশ্যমান। নদীর বুকে খেলা করে জোয়ার-ভাটার স্রোত। জোয়ার থাকুক আর ভাটা থাকুক, সূর্যাস্তের চিকচিকে আলো নিবিড় সখ্যতা গড়ে তোলে ঢেউয়ের সঙ্গে।
নদীর গল্পটাই এমন। নিজের সঙ্গে বহন করে অজস্র মানুষকেও। জনপদের দায়িত্বও তার। নদী ভাঙন থেকে জনপদকে রক্ষার জন্য থাকে বেড়িবাঁধ। এসব বেড়িবাঁধ রীতিমতো পর্যটকদের মনে জায়গা দখল করে নেয়। কারণ নদীর মনোরম দৃশ্য দেখতে সেখানেই দাঁড়াতে হয়। তাই বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ এখানে তরুণদের আড্ডা বেশ জমে ওঠে।
মেঘনার জলের সঙ্গে মিশে থাকা সৈকতকে অনেকে মিনি কক্সবাজার বলেন। এখানে বিকেল বেলার সূর্য রশ্মির সঙ্গে জোয়ার আর ভাটার দৃশ্য বেশ ঝলমলে। আসলে নদীর দৃশ্য অন্য স্থানগুলোর তুলনায় একটু বেশিই ব্যতিক্রম।
যখন ক্লান্ত সূর্যটা হেলে পড়ে, ছুটে চলে পশ্চিমা দিগন্তে। এ স্থানগুলোতে প্রিয়জনদের নিয়ে আপনিও ঘুরে মনকে আনন্দ দিতে পারেন। তবে হ্যাঁ, সময়টা ঠিক সূর্য যখন ক্লান্ত। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামার পথে।
নদীর এমন দৃশ্য দেখতে বন্ধুদের নিয়ে নিয়মিত নদীর পাড়ে যায় অনেকেই। যথা সময়ে আবার ঘড়ে ফিরে যায় তারা। মনের যত দুঃখ-বেদনা, দুশ্চিন্তা আছে, সবগুলোকে ঝেড়ে ফেলতে সূর্যাস্তের দৃশ্য বেশ কাজে দেয়। এজন্য এ অপরূপ ছোঁয়া পেতে আসে পর্যটকরা। এই অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে যেতে পারেন আপনিও।