আবারো ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ফখরুল-রিজভী
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
আবারো-ক্ষমতার-দ্বন্দ্বে-ফখরুল-রিজভী
নয়াপল্টন বিএনপির পার্টি অফিস সূত্রের বরাতে জানা যায়, মির্জা ফখরুল মূলত খালেদাপন্থী এবং ধীর বুদ্ধিসম্পন্ন নেতা হওয়ায় তারেকপন্থী রিজভী আহমেদ ও তার অনুসারী নেতাদের কাছে বরাবর হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু দলের ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষার্থে মির্জা ফখরুল রিজভীদের অপমান ও গঞ্জনা মুখ বুজে সহ্য করে গেছেন। তবে রুহুল কবীর রিজভী অসুস্থাবস্থায় বাসায় থাকাকালীন এ বিষয়গুলো কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু রিজভী সুস্থ হয়ে আসার পরে এখন এই দ্বন্দ্ব আরো দ্বিগুণভাবে বেড়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, অসুস্থ থাকাকালীন বাসায় থেকেই দলীয় কার্যক্রমের খবর রাখছিলেন রিজভী। সুস্থ হয়েই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার সৃষ্ট নেতৃত্বের বিরোধ মিটানোর জোরালো উদ্যোগ নেন তিনি। বেশ কয়েকবার ফোনে কথাও হয় তারেকের সঙ্গে। এরই মধ্যে মির্জা ফখরুলের আন্দোলনে অনীহা এবং ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের বিষয়টি সামনে আসে। তখনই তারেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- ‘ওনাকে (মির্জা ফখরুল) দিয়ে হবে না, আপনি (রুহুল কবীর রিজভী) দ্রুত সুস্থ হয়ে কাজ শুরু করুন’।
এদিকে তারেকের মুখে এ কথা শুনে নতুন উদ্যোমে রাজনীতিতে ফেরার স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন তিনি। আর তাই গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একাই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে তার গুলশানের বাসভবনে যান।
তিনি আরো বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের গুপ্তচরবৃত্তি করাসহ দলীয় নানা অভিযোগ থাকায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ওপর ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে তারেক রহমানের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। পরবর্তী কাউন্সিলে দলের মহাসচিব হতে যাচ্ছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও দলের সিনিয়ররা। তারা বলছেন, এবার রিজভী যদি দলের মহাসচিব হয়ে আসেন। বিষয়টি বিএনপির জন্য ভালো কিছুই বয়ে আনবে না। কেননা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর যাই হোক একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। আর এ কারণেই বিএনপি এখনো ঐক্যবদ্ধ আছে। কিন্তু দলের ক্ষমতা যদি রিজভীর হাতে চলে যায় তাহলে বিএনপি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।