মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৮ ১৪৩১   ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডনে দ্বিতীয় ‘হাওয়া ভবন’ তারেকের

প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

লন্ডনে-দ্বিতীয়-হাওয়া-ভবন-তারেকের

লন্ডনে-দ্বিতীয়-হাওয়া-ভবন-তারেকের

দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারান্তরীণ অবস্থা থেকে অদ্যাবধি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন তারেক রহমান। কিন্তু তিনি যেন থেকেও না থাকার ভূমিকায়। 

শুধুমাত্র পদ-কমিটি আর মনোনয়ন বাণিজ্যের সময়েই তার দেখা মেলে। বাকি সময় তিনি থাকেন হিমনিদ্রায়। এ কারণে দলে তার নেতৃত্ব আজও দৃঢ় হয়নি। বরং সৃষ্টি হয়েছে আকাশসম অনৈক্য আর গ্রুপিং-কোন্দল। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারেকের একগুঁয়ে অযাচিত কর্তৃত্ব ও সিদ্ধান্তে অখুশি দলের একটি বৃহৎ অংশ। একই অবস্থা বিদেশের একাধিক মহলেও। তারাও বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, বিএনপি এখন তার অতীতকর্মের ফল ভোগ করছে। আর এটাই তাদের প্রাপ্য। এখন চাইলেও তারা নিজেদের পুনরুত্থান করতে পারবে না। কারণ, তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের আখ্যান। এমন পরিস্থিতিতে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্রমেই হতাশা বাড়ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেন, এভাবে চলতে পারে না। তারেকের হাতে বিএনপি নিরাপদ নয়। তিনি দলকে বাণিজ্যিক সংগঠনে পরিণত করে শুধু নিজের আখের গোছাচ্ছেন। দল বা দলের নেতাকর্মীদের কি হচ্ছে, তাতে তার বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই। এমনকি গর্ভধারিণী মা ও আমাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এর বিষয়েও কোন আগ্রহ নেই। তিনি এখানে অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন, আর ওদিকে তিনি লন্ডনে আয়েশি জীবন যাপন করছেন। আমোদ-ফুর্তি করে সময় পার করছেন তারেক রহমান।

নেতা-কর্মীরা আরো বলেন, তার হাতে দল থাকলে ভবিষ্যৎ নিশ্চিতভাবে অন্ধকার। এর কোন ব্যতিক্রম হবে না। কারণ, তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সব করতে পারেন। তা না হলে কেউ মায়ের মুক্তির কথা বলে দেশি-বিদেশি দাতাদের থেকে ফান্ড সংগ্রহ করে তা নিজে আত্মসাৎ করে?

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তারেক রহমান লন্ডনে দ্বিতীয় ‘হাওয়া ভবন’ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর সেখান থেকেই তিনি দাপটের সঙ্গে নিজের সাম্রাজ্য পরিচালনা করছেন। দলের কেউ কিছু এসব বিষয়ে বলতে গেলেই তিনি হচ্ছেন তারেকের শাস্তির মুখোমুখি। তার এই স্বৈরাচারী অত্যাচার সইতে না পেরে অনেকেই নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন দল থেকে। আবার কেউবা করেছেন পদত্যাগ। তবুও তাতে হুঁশ ফেরেনি তারেকের। বরং তারেক রহমান হয়ে উঠেছেন আরো বেপরোয়া, যা তাকে ও বিএনপিকে ক্রমেই ধ্বংসের দাবানলের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।