রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, ঈদের অপেক্ষায় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা

প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২২ রোববার

পর্যটকশূন্য-কুয়াকাটা-ঈদের-অপেক্ষায়-পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা

পর্যটকশূন্য-কুয়াকাটা-ঈদের-অপেক্ষায়-পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা

ঘড়ির কাটায় দুপুর ১২ টা। মাথার উপরের সূর্যের তেজস্বী রোদ। পাশেই এক ঝাঁকা মুড়ি। কাটা পেঁয়াজ, মরিচ, তেল, লবণসহ হরেক রকমের অনুষঙ্গ মুড়ির চারপাশে সাজানো। বোঝা গেল, প্রস্তুত হয়েই তিনি বেরিয়েছেন বাড়ি থেকে। কিন্তু খুব কম মানুষই এখন সৈকতে আসেন। যারা আসেন তারাও স্থানীয়। তাই ক্রেতার অভাবে ঝালমুড়ি বিক্রি হয় না তেমন। নির্বাক চাতকের মতো হেলাল পেয়াদা দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রেতার আশায়। দুপুর শেষে বিকেল হয় প্রায়, তবুও বিক্রি হয় না ১০০ টাকাও। এমন অবস্থা কুয়াকাটা সৈকতের। 

যে সৈকতে মানুষের পদচারণায় পা ফেলার উপায় থাকে না, সেখানে আজ সুনসান নীরবতা। কোনো মানুষের কোলাহল নেই। বন্ধ রয়েছে রেস্তোরাঁগুলো। খালি হয়ে আছে আবাসিক হোটেল মোটেলের রুম। 

প্রথম রমজান থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এতে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে, ঈদের আগে পর্যটক বাড়ার আশা ব্যক্ত করেছেন তারা। তাই অনেকেই নতুন করে সাজাচ্ছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।  

পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন আশাহত হয়ে শূন্য পকেটেই ঘরে ফিরছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যবসায়ীর। এমন অবস্থা সৈকতের চা বিক্রেতা, ডাব বিক্রেতা, হকার, চটপটি, ফুচকা বিক্রেতারাও পড়েছেন চরম সংকটে। কুয়াকাটার শত-শত নিম্ন আয়ের মানুষ এখন অভাবের মধ্যই দিন কাটাচ্ছেন।  

সৈকতের পূর্ব এবং পশ্চিম পাশের ফ্রাইয়ের দোকান, চটপটির দোকান এবং কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে তালা ঝুলছে। সৈকতের ছাতা ও বেঞ্চ গুটিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। চারদিকে তাকালে দেখা যায় মনে হয় জনমানবশূন্য এলাকা।

পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা। ছবি : সংগৃহীত

তবে আগের থেকে বেড়েছে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন। ডানা মেলতে শুরু করেছে সৈকতের প্রকৃতি। ঈদের আগে যারা কুয়াকাটায় আসবেন, তারা গোছানো সৈকত মন ভোলানো প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা হওয়ার কারণে এখানে অধিকাংশ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে পর্যটন-নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্য জড়িয়ে আছে। রমজানের কারণে পর্যটক না থাকায় তাদের জীবনের ছন্দ কেটে গেছে। তবে আশা করছি ঈদ এলেই আবার নতুন করে ছন্দ ফিরবে।’