রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রমজানে ভ্রমণ, জেনে নিন কিছু টিপস 

প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২২ শনিবার

রমজানে-ভ্রমণ-জেনে-নিন-কিছু-টিপস 

রমজানে-ভ্রমণ-জেনে-নিন-কিছু-টিপস 

চলছে রোযার মাস। তাই বলে কি ঘুরে বেড়ানো থেমে থাকবে? ভ্রমণ যাদের নেশা তাদেরকে ঘরে আটকে রাখা অসম্ভব। তবে এ মাসে কিছু বাড়তি ভাবনা যোগ হয়। ইচ্ছেমতো সবকিছু করা যায় না! নিজের উচ্ছাস আর রোযাদারদের ধর্মানুভূতির ভারসাম্য রাখতে মেনে চলুন কিছু টিপস-

পরিস্থিতি জেনে নিন

যে জায়গায় যাচ্ছেন সেখানে এই সময় পরিস্থিতি কেমন থাকে সেটা একটু জেনে নিন। কিছু ট্যুরিস্ট এলাকা আছে যেখানে রোযার মাসেও পরিবেশ একই রকম থাকে। খাবার হোটেল খোলা থাকে এবং বিনোদনের ব্যবস্থাগুলোও চালু থাকে। কিন্তু কিছু এলাকায় ট্যুরিস্ট আগমন কম হচ্ছে বলে বিনোদন ব্যবস্থাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

খাবার সঙ্গেই রাখুন

এই সময় দোকানপাট প্রায়শই বন্ধ থাকে। খাবারের দোকানগুলো থাকে ছাউনি দিয়ে ঢাকা। ট্রেকিং বা হাইকিং এর মতো শক্ত কাজে বারবার পানি পান করা আর কিছু খাবার গ্রহণ করা খুব জরুরি। কিন্তু আপনি কেনা খাবার আশায় বিপদে পড়তে পারেন। তাই খাবার সঙ্গেই রাখুন।

রাতে হতে পারে ভ্রমণ

রমজানে ভ্রমণের জন্য ভালো সময় হতে পারে রাতের বেলা। সারাদিন রোজা শেষে ইফতার করা হলে শরীরে কিছু শক্তি সঞ্চয় হয়। কেটে যায় ক্লান্তিভাব। আর রাতে দিনের মতো তাপের তীব্রতা থাকে না বলে ভ্রমণও হয় স্বস্তিদায়ক। ইফতারের পর যেন ভ্রমণে ক্লান্তি না আসে সে জন্য খাবারের তালিকায় রাখুন তাজা ফল ও খেজুর, সেই সঙ্গে ফলের জুস। এগুলো আপনার শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। এ ছাড়াও তালিকায় রাখতে পারেন- ঘরে বানানো স্যুপ, সালাদ, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার, যেমন ভাত, পাস্তা ও আলু, প্রোটিন জাতীয় খাবার, খাসির মাংস, মুরগির মাংস অথবা মাছ।

খুব ভোরে বের হন

ভ্রমণের জন্য যদি দিনে বের হতে হয় তাহলে চেষ্টা করুন খুব ভোরে বের হওয়ার জন্য। কারণ সেহরির পর শরীরে যথেষ্ট শক্তি সঞ্চিত থাকে। তাই ভ্রমণে তেমন কষ্ট হয় না । বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তাপ বাড়তে থাকে বলে বাড়ে পানির পিপাসা, সাথে ক্লান্তি। তাই বেলা শেষ হয়ে যাওয়ার আগে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা মাথায় রেখেই ভ্রমণ পরিকল্পনা করা উচিৎ। সেহরিতে তাই এমন খাবার গ্রহণ করা উচিৎ যেগুলো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যুক্ত। এছাড়াও ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করা উচিৎ যেন সারাদিনে শরীরে পানির ঘাটতি না হয়।

বদলাতে হতে পারে পরিকল্পনা

কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে পরিকল্পনা বদলাতে হতে পারে। আপনি নিজেই যদি রোযাদার হয়ে থাকেন তাহলে কঠিন পথে ভ্রমণ এ সময় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আর রোযাদার না হলেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। অনেক আগেই হয়তো আপনি ঠিক করে রেখেছিলেন এই মাসে কোথায় ঘুরতে যাবেন। কিন্তু আগে তথ্য নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন। 

কোনো ধর্মানুভূতিতে আঘাত নয়

আপনি যে ধর্মের অনুসারীই হোন না কেন ইসলাম ধর্মাবলম্বিদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত আসে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন। রোযাদারদের সামনে খাবেন না। যদি কোনো উপায় না থাকে তাহলে অন্তত সৌজন্যের জায়গা থেকে ‘দুঃখিত’ বলুন।

সবার সঙ্গে মিশে যান

যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন সেখানে সবার মাঝে মিশে যাওয়াটা জরুরি। এতেই ভ্রমণের আনন্দটা নেওয়া যায় পুরোপুরি। আপনি আদিবাসি পল্লীতে গেলে হয়ে যান তাদেরই একজন। মুসলিম এলাকা হলে ইফতার করুন সবার সঙ্গে।