ভ্রমণে গিয়ে স্বর্ণ আনার শর্ত কী?
প্রকাশিত : ০৯:৫৫ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
ভ্রমণে-গিয়ে-স্বর্ণ-আনার-শর্ত-কী
বিদেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে পণ্য বা লাগেজ পরিবহনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। নির্দিষ্ট বয়সের মানুষের ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যে কোনো শুল্ক বা কর দিতে হয় না। তবে বাড়তি পণ্য বা অলংকারের জন্য নির্দিষ্ট মূল্যে শুল্ক এবং কর পরিশোধ করতে হয়।
বিশেষ করে স্বর্ণ আনার ক্ষেত্রে বেশকিছু নীতিমালা রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। এসব বিষয় না জানার কারণে অনেকে না বুঝেই বিমানবন্দরে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। বৈধভাবে যতটুকু স্বর্ণ একজন যাত্রী আনতে পারেন তার চেয়ে বেশি স্বর্ণ আনলে প্রাথমিকভাবে জরিমানা এবং স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে কারাদণ্ডও হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১২-তে এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই ২০১২ থেকে এ বিধিমালা কার্যকর করা হয়।
একজন যাত্রী কী পরিমাণ স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবেন?
এই বিধিমালার আওতায় বিমানবন্দরে শুল্ক ও কর ধার্য করা হয়। বিধামালার ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘একজন যাত্রী অনধিক ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার অথবা ২০০ গ্রাম রৌপ্যের অলংকার (এক প্রকার অলংকার ১২টির অধিক হবে না) সব প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে আমদানি করতে পারবে।’
অর্থাৎ বিদেশ থেকে আসার সময় একজন যাত্রী শুল্ক-কর ব্যতীত সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ সঙ্গে আনতে পারবেন। তবে এক প্রকারের অলংকার ১২টির বেশি হতে পারবে না। ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত আরো ১০০ গ্রাম পর্যন্ত অলংকার HS-Code (২০১৪-১৫) অনুযায়ী গ্রামপ্রতি ১৫০০ টাকা হারে শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে আনা যাবে।
সঙ্গে স্বর্ণালংকার থাকলে করণীয়
কোনো যাত্রীর কাছে ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত পরিমাণ অলংকার থাকলে বিমানে সরবরাহকৃত ‘ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম’-এ সংশ্লিষ্ট কলামে অবশ্যই ‘হ্যাঁ’-তে টিক দিতে হবে। যদি কোনো যাত্রী তা না করেন তবে কাস্টম চেকিংয়ের সময় অবশ্যই নিজ থেকে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানাতে হবে।