1. প্রচ্ছদ
2. রাজনীতি

বিএনপির-লজ্জা-পাওয়া-উচিত-আব্দুর-রাজ্জাক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে কিছু কিছু নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই। তবুও মানুষকে বিভ্রান্ত করতে আন্দোলনের চেষ্টা করছে বিএনপি। পত্রপত্রিকা ও রেকর্ড থেকে প্রমাণ দিয়ে বলতে পারি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে প্রতিবছর মঙ্গা হয়েছে। সেজন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করা বিএনপির শোভা পায় না। বরং তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।

শনিবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি জোটের আমলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন চর, নদী ভাঙন এলাকায় প্রতিদিন মানুষ না খেয়ে থেকেছে। আমরা তাদের হাড্ডিসার চেহারা দেখেছি। বিএনপির আমলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রায় দিনই মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। কিন্তু গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। ইনশাল্লাহ, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ফায়দা লুটতে বিএনপি জোট, তথাকথিত সুশীল সমাজ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। ১৯৭৪ সালে এ অপশক্তি কুড়িগ্রামের বাসন্তীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাল পরিয়ে দুর্ভিক্ষের অপপ্রচার ছড়িয়েছে। ক্ষমতার জন্য বিএনপি ‘বাসন্তী প্লট’ তৈরি করে তা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ আর বিভ্রান্ত হবে না।

মন্ত্রী বলেন, মোটা চালের দাম গত দুই মাস বাড়েনি। পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী থাকায় কৃষকেরা দাম বাড়াতে চাপ দিচ্ছেন। আলুর দাম কম থাকায় কৃষকেরা দাম বাড়ানোর চাপ দিচ্ছেন। রোজা শুরু হচ্ছে, বেগুনের দামও স্থিতিশীল। তারপরও সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে এক কোটি পরিবারকে কম মূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়াসহ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।

ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুনার রশিদ হীরার সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহা. ফারুক খান।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি।