বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় সরকারের নামে বিএনপির টালবাহানা

প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ৩১ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার

জাতীয়-সরকারের-নামে-বিএনপির-টালবাহানা

জাতীয়-সরকারের-নামে-বিএনপির-টালবাহানা

রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে এবার জনগণকে বোকা বানাতে জাতীয় সরকার গঠনের নামে নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্যাংক লুট, কোষাগার লুণ্ঠন, অর্থ আত্মসাতের পুরোনো রাজনীতিতে বিফল হয়ে ক্ষমতা হারানো বিএনপি এবার ‘জাতীয় সরকারের’ নামে জাতীয় লুটপাটের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতাশার চূড়ান্তরেখায় থাকা দলটি নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেও ভাগ্য ফেরাতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে গেল কদিন আগেই বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিলেও এবার মুড সুইংয়ে নতুন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছে তারা।

বিএনপির নতুন এ তত্ত্ব বলছে, আগের শাসনামলে অর্থ আত্মসাতে তেমন আখের গোছাতে না পারায় এবার দেশে অরাজকতা সৃষ্টি ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় দলটি।

আরো পড়ুন>>> বিএনপিতে গণতন্ত্র চর্চা ও গবেষণার অভাব

কিন্তু ইতিহাস বলছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঐ পাঁচ বছরে বিএনপি বাংলাদেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। ঐ পাঁচ বছরে বিএনপি হত্যা, নির্যাতন, দখল, দলীয়করণ, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার, জঙ্গি উত্থান, গ্রেনেড হামলার মতো এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করেনি।

বিএনপির নতুন তত্ত্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপিসহ মিত্রজোট যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাদের নিয়েই জাতীয়ভাবে দেশের সম্পদ লুটপাট করবে বিএনপি। 

এক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে অংশ নেয়া মিত্রদলগুলো জিতলেও তারা লুটপাট চালিয়ে যাবে। এতে করে তাদের ‘জাতীয় সরকারও’ থাকবে, আবার হারলেও থাকবে। অর্থাৎ নির্বাচনে তারা যদি সন্ত্রাস করে কোনোভাবে চলে আসে তাহলেই বাজিমাত।

বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাজটি বিএনপি একা করতে চায় না বা একা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই বেশ কয়েকটি মিত্রদলের দরকার তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এ নতুন ধারণার প্রকাশ করেন। এর পরপরই দলের নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ ধারণার প্রচারণা শুরু করেন।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, জাতীয় লুটপাটের এ বুদ্ধি বিদেশের বেশ কয়েকটি সহিংস গোষ্ঠীর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার মধ্যস্থতায় সহিংস গোষ্ঠীগুলো আসন্ন নির্বাচনে অর্থ বিনিয়োগে একমত হয়। এগুলো ব্যবহার করা হতে পারে অস্ত্র ক্রয়, সাইবার স্পেস নিয়ন্ত্রণসহ নির্বাচন পরিচালনার সব ধ্বংসাত্মক কাজে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, নতুন ফন্দি-ফিকিরের তত্ত্ব বিএনপির জন্য নতুন কিছু নয়। তারা মুখে এক চিন্তা তো মনের ভেতর থাকে ভিন্ন চিন্তা। সামগ্রিক ধারণা যা বলে, তাতে যেকোনো রাজনীতি সচেতন মানুষ সহজেই বুঝবেন তাদের এ তত্ত্বের নেপথ্যে কী।