বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপিতে গণতন্ত্র চর্চা ও গবেষণার অভাব

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২২ বুধবার

বিএনপিতে-গণতন্ত্র-চর্চা-ও-গবেষণার-অভাব

বিএনপিতে-গণতন্ত্র-চর্চা-ও-গবেষণার-অভাব

দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চা ও গবেষণার অভাবে রাজনীতিতে পোড় খেয়ে রাজপথের আন্দোলন-কর্মসূচিতে বিমুখ এবং পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বিএনপি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়ায় গণতান্ত্রিক মহলে প্রায় একঘরে হয়ে গেছে দলটি। 

এসব ভুলের জন্য বিএনপিকে দীর্ঘমেয়াদী ভুগতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, পরনির্ভরশীলতা, ভঙ্গুর দশা, অপরিপক্ব রাজনীতি ও পরিবারতন্ত্র বিএনপির রাজনীতিতে ভর করেছে। 

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে অনেকটা স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচিত করায় অন্যান্য নেতাদের মতামত প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে বিএনপিতে। অবমূল্যায়িত হওয়ায় নেতারা আর স্বপ্রণোদিত হয়ে দলের ভালোর জন্য পরামর্শ দিতে চান না। তাতে দল নতুন ধারণা ও চিন্তা থেকে বঞ্চিত হয়। বিএনপিতে এখন ঠিক সেটিই হচ্ছে।

আরো পড়ুন>>> বিএনপির সমর্থনে বাম জোটের হরতালে সাড়া নেই জনগণের

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের সিনিয়র একজন নেতা জানান, বিএনপির রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ও গোষ্ঠীতন্ত্র জেঁকে বসেছে। মূলত এ কারণেই বিএনপি সময় মতো সম্মেলন করতে চায় না। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ও নেতা নির্বাচন করা হয় না। 

আর এ কারণে রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে এক ধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে বিএনপি। তাই দলটি জনগণের কথা ভাবার পরিবর্তে সিন্ডিকেটের মতো আচরণ করছে। এ সিন্ডিকেট গুটিকয়েক ব্যক্তির স্বার্থ সংরক্ষণ করছে।

সম্প্রতি বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে আসা একজন নেতা বলেন, বিএনপি তো ব্যক্তি সংগঠন, এটিকে রাজনৈতিক সংগঠন বললে ভুল হবে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সংগঠনটির মালিক। তাদের ইশারায় দলের নেতারা উঠবস করেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপিতে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। যার কারণে প্রতিবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে দলটি। যে দল ব্যক্তি স্বার্থের বাইরে যেতে পারে না, যে দলে স্বতন্ত্র কোনো চিন্তার মূল্য নেই। আর সেই দল সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবে, এটাই তো স্বাভাবিক।