সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হোটেলে অবস্থানের কিছু টিপস

প্রকাশিত : ০৫:৫৫ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

হোটেলে-অবস্থানের-কিছু-টিপস

হোটেলে-অবস্থানের-কিছু-টিপস

ভ্রমণ কিংবা কাজের তাগিদে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গেলে থাকার জন্য হোটেলই ভরসা। কমদামি হোক কি বেশি দামি—সব হোটেলেই কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সে সঙ্গে অনেকেই হোটেলে থাকতে গিয়ে এমন কিছু ভুল করে বসেন, যার মাশুল গুনতে হয় বিশাল পরিমাণের। এমন কিছু ভুল নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। হোটেলে অবস্থানের ক্ষেত্রে এই ভুলগুলো যেন কখনোই না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত আমাদের সবার।

নিরাপদ হোটেল নির্বাচন করুন

আপনি যখন হোটেলে একা থাকার সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন অবশ্যই সবার আগে নিরাপদ হোটেলের খোঁজ করুন। আপনি টাকা দিয়ে দামি হোটেলে থাকলেন; কিন্তু নিরাপত্তা ভালো না, তখন কিন্তু সমূহ বিপদ। জানার চেষ্টা করুন হোটেলের নিরাপত্তাকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার জন্য তৎপর আছে কি না।

কেউ আপনাকে অনুসরণ করলে হোটেল কক্ষে ঢুকবেন না

হোটেলে ঢোকার পর নিজের কক্ষের সামনে যাওয়ার সময় যদি কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে মনে হলে আপনি হাঁটা বন্ধ করবেন না। হাঁটতে হাঁটতে সোজা লিফটে চলে যান।

মূল্যবান জিনিস রুমে রাখবেন না

মূল্যবান জিনিসপত্র অনেকেই হোটেলরুমের গোপনীয় কোনো একটি জায়গায় রেখে দেন। এটি চরম ভুল। হোটেলরুম থেকে চুরি করতে যারা ওস্তাদ, তারা কিন্তু ওই সব ‘গোপন’ জায়গার হদিস আপনার চেয়ে ভালো জানে! সুতরাং একটু পয়সা খরচ করে কর্তৃপক্ষের লকারে নিজের মূল্যবান জিনিস রেখে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন

দরজা লাগিয়ে দিলেই কিন্তু হলো না। যতক্ষণ না ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন বাইরে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন, ততক্ষণ যে কেউ এসে উটকোভাবে আপনার ব্যক্তিগত সময় যাপনে বাদ সাধতে পারে। আবার ঘর পরিষ্কারের চিন্তা থাকলে সেটি সরিয়ে ফেলুন। কারণ, ওই সাইন ঝোলানো থাকলে হোটেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও আপনার ঘরের আশপাশে ঘেঁষবে না।

রুম নম্বর বলবেন না

যেখানে সেখানে বা চেক-ইনের সময় আপনার হোটেলের রুম নম্বরটি নিজে উচ্চারণ করবেন না। দুষ্কৃতকারীরা এসব তথ্যের জন্যই মুখিয়ে থাকে। এ বিষয়টি যতটা পারেন গোপন রাখুন, নতুন পরিচিত কাউকেই রুম নম্বর জানাতে যাবেন না।

চট করে দরজা খুলবেন না

দরজায় কড়া নাড়া হলো আর কিছু না বুঝেই বললেন, ‘কাম ইন’। এই বিশাল ভুলটি কখনোই করতে যাবেন না। হোটেল কিন্তু দিন শেষে কখনোই তেমন নিরাপদ জায়গা নয়। সুতরাং পরিচয় জেনে তার পরে দরজা খুলুন। মনে রাখবেন, অচেনা জায়গায় অচেনা কেউ তো আপনার সঙ্গে দেখা করার কথা নয়। কাজেই সাবধান। আর সব সময় দরজা লাগিয়ে রাখতে ভুলবেন না।

দুই বিছানার কক্ষ ভাড়া করুন 

দুই বিছানার কক্ষ ভাড়া নিলে আপনি অনেকটা নিরাপদ থাকবেন। কারণ, অন্যরা মনে করবে আপনি একা নন। সঙ্গে কেউ আছে। এটা একটি কৌশল বলতে পারেন।

নীচতলায় অবস্থান করবেন না 

সন্ত্রাসীরা সবসময় নীচতলায় আক্রমণ করে থাকে। কারণ, এটি তাদের জন্য সহজ। এজন্য নীচতলার কক্ষ এড়িয়ে চলা উচিত নিজের নিরাপত্তার জন্য।

খুব উঁচুতে অবস্থান করবেন না 

খুব উঁচুতে অবস্থান করবেন না। এর কারণ বাথরুমে জানালা অথবা ঘরের জানালা দিয়ে কেউ প্রবেশ করলে আপনি চিৎকার করলে কেউ শুনতে পাবে না।

হোটেলের মিনিবারের পানীয় নয়

কোমল কিংবা কঠিন, যেমন পানীয়ই খান না কেন, সেটি হোটেলের মিনিবার থেকে খেতে যাবেন না। কারণ, সাধারণত হোটেলের মিনিবারগুলোতে পাঁচ টাকার খাবারের দাম অন্তত ৫০ টাকা রাখা হয়! শেষে দেখবেন, আপনার রুম ভাড়ার চেয়ে মিনিবারের বিলই গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ-তিন গুণ!

ছারপোকায় সাবধান

যত বিলাসবহুল কক্ষই হোক আর সুসসজ্জিত বিছানা হোক, ছারপোকা ঠিকই জানে কীভাবে নিজের জায়গা করে নিতে হয়। কাজেই এ ব্যাপারে ভালোমতো তল্লাশি চালান, ছারপোকার সামান্য আনাগোনা দেখলেই সবকিছু ঠিকঠাক করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। কারণ, এই ছারপোকা কেবল আপনাকে কামড়াবে তা-ই শুধু নয়, আপনার সঙ্গে সওয়ার হয়ে আপনার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে অবলীলায়।

কলের পানি খাবেন না

ভুলেও কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য হোটেলরুমের কলের পানি খাবেন না। ভরসা রাখুন দোকান থেকে কেনা মিনারেল ওয়াটারের বোতলে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতন হোন 

কোথায় আছেন? কোন হোটেলে আছেন? এসব বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করবেন না।