বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

একযুগেও বোধোদয় হয়নি বিএনপি নেতাদের

প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

একযুগেও-বোধোদয়-হয়নি-বিএনপি-নেতাদের

একযুগেও-বোধোদয়-হয়নি-বিএনপি-নেতাদের

তৃণমূলে বারবার আশার বাণী দিয়েও কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। কারণে-অকারণেই যখন-তখন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয় এ দলটি। তাই এ দলের নেতাদের বোধোদয় একযুগেও হয়নি।

ব্যাংক লুট, জাতীয় কোষাগার লুণ্ঠন, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা ও বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলাসহ নানা অপকর্মে জড়িত রয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। 

এদিকে সরকারের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প যখন আলোর মুখ দেখেছে, অর্থনীতি হচ্ছে সমৃদ্ধ, তখন সরকারের উন্নয়নে ক্ষুব্ধ হয়ে বিদেশে বসে কেন্দ্রের নেতাদের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। আর এ সময় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা গা ছাড়া ভাব নিয়ে ভাতঘুমে আছেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন কর্মকাণ্ডে তৃণমূল নেতাকর্মীরা হয়ে পড়েছেন হতাশ। তারা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন রাজনীতি থেকে। ফলে নেতাকর্মীশূন্য হয়ে পড়েছে বিএনপি।

সারাদেশের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে রাজনীতি করে কোনো কিছু তো হবেই না, উল্টো নিজের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। যাদের জন্য এতদিন ত্যাগ স্বীকার করেছি, তারা রাজনীতি থেকে নিজেরাই সরে গিয়ে আরাম-আয়েশ করছেন, বিদেশে বসে ফন্দিফিকির করছেন। তাহলে আমরা কেন এত কষ্ট করছি দলের জন্য? পরিবারের দিকেও তাকাতে পারি না। এমন হলে তো আমাদের সবই যাবে। তাই আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া ভালো।

আরো পড়ুন>>> গণতন্ত্রের নাম ভাঙিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা বিএনপির

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক সচেতনরা বলেন, বিরোধী দলে থাকা যেকোনো দলেরই চেষ্টা থাকে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি ও জনগণের পাশে থেকে সরকারের উন্নয়নে সহযোগিতা করা। কিন্তু বিএনপি বর্তমানে জনগণের প্রতিশ্রুতি থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছে। বিগত সময়ে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের নামে তারা যে সহিংসতার জন্ম দিয়েছে- এ পথ থেকে তারা আর বের হতে পারেনি।

এমন একটি দলের প্রতি জনগণও আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাই বিকল্প ও শেষ চেষ্টা হিসেবে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আগামী নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার পাঁয়তারা করছে। এটি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় হতে পারে না। 

তৃণমূল বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেন্দ্রের সিনিয়র নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতায় আন্দোলন এখন কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। মনে হয় না আন্দোলন আর সম্ভব। ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের অপপ্রচার দিয়েই শুধু বিএনপি টিকে আছে। তা না হলে অনেক আগেই মানুষ এ দলটির নাম ভুলে যেত।