দুর্নীতিগ্রস্ত খালেদাকে নিয়ে ফখরুলের রাজনীতি
প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২২ শনিবার
দুর্নীতিগ্রস্ত-খালেদাকে-নিয়ে-ফখরুলের-রাজনীতি
‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ ও ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ এর নামে এতিমদের তহবিল থেকে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন খালেদা জিয়া। সে সময় খালেদা জিয়ার সব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাতিয়ার ছিলেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, দুটি আলাদা ট্রাস্ট গঠনের নামে এতিমের সঙ্গে যে অন্যায়, অমানবিক আচরণ ও নির্মমতা দেখিয়েছেন খালেদা জিয়া, সেটি ইতিহাসের নিকৃষ্টতম দুর্নীতির নজির ছাড়া আর কিছুই নয়। বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়ে ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছিল খালেদা সরকার। সে সময় বিদ্যুতের ছিটেফোঁটাও পায়নি সাধারণ জনগণ। এমন ঘৃণ্য অপরাধের সাজা যতই দেওয়া হোক না কেন, কম দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন>>> বিএনপি নেতাকর্মীদের ঠেলাঠেলিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগেই পুষ্পস্তবক দুইভাগ
তারা আরো বলেন, খালেদা জিয়ার এমন নিকৃষ্ট অপরাধের পরও তিনি সরকারের কাছ থেকে যে মানবিক জামিন পেয়েছেন, সেটা বিএনপির ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বরং কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। অথচ বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার সব অপকর্মকে এত সহজেই বেমালুম ভুলে গেলেন? এমন হলে দেশের জনগণের কাছে রাজনীতির সংজ্ঞাই বদলে যাবে। তবে যদি বিএনপি এটিকেই তাদের আদর্শ বলে লালন করে, তাহলে তাদের রাজনৈতিক আদর্শে ত্রুটি আছে। এটি শুদ্ধ না করতে পারলে সেটি হবে তাদের জন্যই আত্মঘাতী।
এ ব্যাপারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, সবাই অনুরোধ করে বিএনপিকে নিয়ে কিছু না বলতে। কিন্তু তাদের অপকর্মের কথা না বলে পারি না। খালেদা জিয়ার জামিন আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিন ছয় মাস করে পেয়ে বিএনপির আরামে থাকার অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই এখন আজগুবি মার্কা কথা বলার রোগে ধরেছে তাদের।