বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন নিয়ে লজ্জিত নেতারা

প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ২১ মার্চ ২০২২ সোমবার

খালেদা-জিয়ার-জন্মদিন-উদযাপন-নিয়ে-লজ্জিত-নেতারা

খালেদা-জিয়ার-জন্মদিন-উদযাপন-নিয়ে-লজ্জিত-নেতারা

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আসল জন্মদিন নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন দলটির কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা। যেকোনো বিতর্কে নিজেদের নেত্রীর আসল জন্মদিন উত্থাপনে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মোট ছয়টি জন্মদিন রয়েছে। এর মধ্যে তার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী একটি জন্মদিন হচ্ছে ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন লেখা হয় ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট, জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট, ২০০১ সালে তার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট ও সর্বশেষ করোনা টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৮ মে। এছাড়া খালেদা জিয়ার অনুসারীরা ১৫ আগস্ট তার জন্মদিন উদযাপন করে থাকে, যা সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সনের গোপন নির্দেশনায় বাতিল করা হয়েছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টকে জন্মদিন উদযাপন করে আসছিলেন। এতে বিভিন্ন মহল থেকে চরম সমালোচনার মুখে পড়েন বিএনপি চেয়ারপার্সন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের আরো পাঁচ জন্মদিনের কথা জানা গেলে সমালোচনা আরো বেড়ে যায়। এজন্য পরিস্থিতি বুঝে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন উদযাপন না করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে আমরা লজ্জায় আছি। নেত্রীর আসল জন্মদিন বিতর্কে আমরা আটকে যাই। এ বিষয়ে আমাদের অনুসারী নেতারা প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যেতে হয়। নেত্রীর এত জন্মদিন থাকার পরও ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন করার উদ্দেশ্য সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন মানুষ আমাদের নেত্রীর জন্মদিন নিয়ে কানাঘুষা করে থাকে। এজন্য স্বয়ং নেত্রীই ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন করতে বারণ করেছেন। এতদিন ১৫ আগস্ট নেত্রীর জন্মদিন উদযাপন করায় আমরা লজ্জা বোধ করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির নেতারা সমালোচিত হয়েছেন। এখন বেশ কয়েকটি জন্মদিন সামনে আসার পর ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন বাতিল করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তার দল ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন করে যে ভুল করেছে সেজন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।