শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা: মাহবুব উল আলম হানিফ

প্রকাশিত : ১১:০৫ পিএম, ১০ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার

৭-মার্চের-ভাষণ-বিশ্বের-মুক্তিকামী-মানুষের-চিরন্তন-অনুপ্রেরণা-মাহবুব-উল-আলম-হানিফ

৭-মার্চের-ভাষণ-বিশ্বের-মুক্তিকামী-মানুষের-চিরন্তন-অনুপ্রেরণা-মাহবুব-উল-আলম-হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন-২০২২ উপলক্ষে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড.হারুন-অর-রশিদ।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মূল অনুপ্রেরণা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ৭ মার্চের এই ঐতিহাসিক ভাষণটি। যেখানে তিনি বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

‘একইভাবে এই অমর বাণী ও ভাষণ পৃথিবীর সব নিপীড়িত ও শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্দীপিত করে। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের দুনিয়া কাঁপানো ঐতিহাসিক এই ভাষণ বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা।’

অধ্যাপক ড.হারুন-অর-রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একজন দক্ষ কৌশলীর সুনিপুণ বক্তব্য। ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ‘স্বাধীনতার’কথা এমনভাবে উচ্চারণ করেন, যেন ঘোষণার কিছু বাকিও থাকল না, আবার তার বিরুদ্ধে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করাও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জন্য সম্ভব ছিল না।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আশরাফুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা আক্তার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামছুদ্দীন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।