শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপির কুচক্রীতে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে: বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ১০ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার

বিএনপির-কুচক্রীতে-দ্রব্যমূল্য-বাড়ছে-বাহাউদ্দিন-নাছিম

বিএনপির-কুচক্রীতে-দ্রব্যমূল্য-বাড়ছে-বাহাউদ্দিন-নাছিম

বিএনপির কুচক্রিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সত্তর বছর পরও বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহলের নির্দেশনায় দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে এই কুচক্রী মহল। এই কুচক্রী মহলকে সংঘবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। 

বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বাহাউদ্দীন নাছিম এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। কারণ এটি এমন এক ভাষণ যার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তির সূচনা করেছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকদের দালালেরা আমাদের এই দেশকে নব্য পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আজ অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক মুক্তির চরম শিখরে পৌঁছে গেছি। তার এই সফলতাকে নষ্ট করার জন্য এখনো একদল কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রের জাল পেতে আছে। তাদের প্রতিহত করার দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগকেই নিতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন> দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা হয়েছে: ডাকমন্ত্রী

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। এ ভাষণটি কি অপূর্ব, কি অকল্পনীয়! তা আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই। ঐ ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে যেন কেউ বিছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে অভিহিত করতে না পারে সে দিকে তার সজাগ দৃষ্টি ছিল।

তিনি ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি কুচক্রীমহল দেশকে যেভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার অপচেষ্টা অব্যহত রেখেছে তোমাদের সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

এ সময় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু এমপি।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।