শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সক্ষমতা নেই বিএনপির

প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ৯ মার্চ ২০২২ বুধবার

নির্বাচনে-প্রতিদ্বন্দ্বিতার-সক্ষমতা-নেই-বিএনপির

নির্বাচনে-প্রতিদ্বন্দ্বিতার-সক্ষমতা-নেই-বিএনপির

সাংগঠনিক দুর্বলতা, যোগ্য নেতৃত্বের অভাব ও তৃণমূল পর্যায়ে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সক্ষমতা হারিয়েছে বিএনপি। এজন্য কোনো ধরনের নির্বাচনেই অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সাংগঠনিক দুর্বলতা দিন দিন স্পষ্ট হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছে বিএনপি । বিএনপির নেতৃত্ব সংকটও একটি বড় সমস্যা। কেন্দ্রের গ্রহণযোগ্য নেতাদের যোগাযোগ সংকটের কারণে দেশের প্রতিটি আসনের বিপরীতে যোগ্য নেতা বা প্রার্থী সৃষ্টি হয়নি। এর ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়ার কোনো আশা নেই বিএনপির। তাই আপাতত সব ধরনের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে চাচ্ছে দলটি। একই সঙ্গে সরকার ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিষেদগার ছড়ানোই এখন বিএনপির রাজনৈতিক ইস্যু নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, পারিবারিক রাজনীতির কারণে আজকে তারেককে নেতা মানে কিছু অর্বাচীন মানুষ। নেতৃত্ব দেওয়ার নূন্যতম যোগ্যতা তার নেই। অর্থ-বিত্তের লোভে সীমাহীন দুর্নীতি করে তিনি নিজেকেসহ দলকে ডুবিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গে আমাদের বেহাল দশা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান দল ও দলের ত্যাগী নেতাদের সর্বস্বান্ত করে দিলো। বর্তমানে আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সক্ষমতা নেই। দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছিল তারেকের নেতৃত্বেই। সুতরাং তার নেতৃত্ব মানতে আমাদের সব সময় আপত্তি। আমাদের মধ্যে যারাই তারেক ঘেঁষা তাদের আমি চাটুকার, লোভী ও স্বার্থপর রাজনীতিবিদ হিসেবে চিহ্নিত করব।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তারেক রহমান রাজনীতিতে অপরিপক্ব। বিলেতে  রাজনৈতিক বিষয়ে তার আরো পড়াশোনা দরকার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতায় আসার মতো সক্ষমতা নেই দেখে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছে না। বেগম জিয়ার রাজনৈতিক কৌশলের অভাব পূরণ করতে তারেক রহমানকে বিকল্প ভেবেছিল বিএনপি। কিন্তু তারেক রহমানের অপকর্ম ও ভুল রাজনৈতিক দর্শনের কারণে দলটির কপালে বদনাম জুটেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও সীমাহীন লুটপাটে নিমজ্জিত তারেকের কারণে খালেদা জিয়াকেও দুর্নাম ও পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল হলো অযোগ্য ও অদক্ষদের গুরুত্বপূর্ণ পদ বিতরণ করা। পরিবার কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল হওয়ায় তারেক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে পেরেছেন। আসলে তারেক রহমানের উপযুক্ত শিক্ষার প্রয়োজন। বিশেষ করে নৈতিক শিক্ষা থেকে তিনি অনেক দূরে। যৌবনের শুরুতেই বখে যাওয়া তারেক রহমানের কারণে বিএনপিকে ভুগতে হচ্ছে। নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন না আসলে বিএনপিকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সম্ভাবনা নেই।